ভিয়েনায় মসজিদ কেন দেশটির সরকারের তোপের মুখে?

  19-04-2018 09:07AM


পিএনএস ডেস্ক: ভিয়েনার এক মসজিদে তুর্কী পতাকা হাতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক ঘটনা তুলে ধরেছিল একদল শিশু। বিষয়টি অস্ট্রিয়ার সরকারকে এতটাই ক্ষিপ্ত করেছে যে চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্য এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী মসজিদটি বন্ধ পর্যন্ত করে দেয়া হতে পারে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গ্যালিপলির লড়াইয়ের এক দিকে ছিল জার্মানি ও তৎকালীন অটোম্যান তুরস্ক আর অন্যদিকে মিত্র পক্ষ। সেখানে তীব্র লড়াই চলে বহুদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে মিত্র পক্ষের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে সক্ষম হয় অটোম্যান বাহিনি।

এই বিজয় এখনো উদযাপন করা হয় তুরস্কে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আধুনিক তুরস্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

ঠিক এই ঘটনাটিকেই ভিয়েনার এক মসজিদে এক অনুষ্ঠানে ফুটিয়ে তুলেছিল একদল শিশু।

সেখানে তারা সামরিক ইউনিফর্ম পরে তুর্কী পতাকা হাতে মিছিল করে। এরপর যুদ্ধে গুলি খেয়ে মারা যাওয়ার ভান করে।

এই অনুষ্ঠানের ছবি এবং খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ভীষণ ক্ষুব্ধ অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী সরকার। প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্য বলেছেন, মসজিদে যা ঘটেছে তার স্থান নেই অস্ট্রিয়ায়। এর বিরুদ্ধে সরকার 'জিরো টলারেন্সের' নীতি নেবে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে সরকার এসবের মোকাবেলা করবে।

ভিয়েনার যে মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি চালায় তুর্কী ইসলামিক কালচারাল এসোসিয়েশেন। এটির মূল দফতর জার্মানির কোলন শহরে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠানের জন্য তারা দুঃখিত। এটি তারা তদন্ত করে দেখছে।

অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার ইসলামিক এসোসিয়েশন বলেছে, এই কেলেংকারি অস্ট্রিয়ায় মুসলিমদের ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

তুরস্কের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার সম্পর্ক বহুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। অস্ট্রিয়ার বর্তমান সরকার তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেয়ার বিরুদ্ধে। তারা তুরস্কের ইইউ-তে যোগ দেয়ার আলোচনা ভেঙ্গে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে অতীতে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন