ধর্ষণকে শত্রুতার নতুন অস্ত্র হিসেবে দেখছেন ভারতের মুসলিমরা

  21-04-2018 11:44AM


পিএনএস ডেস্ক: কাশ্মীরের উপজাতিরা আধুনিক ভারতের কোনো সুযোগ সুবিধাই পায় না। পাহাড়ে ছাগল, গরু আর ঘোড়া চরিয়েই জীবিকা চলে তাদের। তারা সাধারনত খবরেই আড়ালেই থাকে, কিন্তু সম্প্রতি ৮ বছর বয়সী এক কিশোরী মেয়ে আসিফা বানুর ধর্ষণের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের সমস্যাগুলো সামনে আসে।

ওই অঞ্চলের মুসলিমরা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা রোজানায় হিন্দুদের দ্বারা গণধর্ষণ ও নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। খবর এএফপি

৭৪ বছর বয়সি গোলাম মোহাম্মাদ রাস্তার পাশের ইউক্যালিপ্টাস গাছের নিচে অস্থায়ী তাবুতে বসবার করছেন। তিনি বলেন, হিন্দুরা চায় না আমরা এই এলাকায় থাকি। মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের মনে অনেক শত্রুতা।

তিনি আরো বলেন, আমি ধর্ষণের ঘটনাটি রেডিওতে শুনেই এলাকা ছেড়েছি। এখন রাস্তার পাশের তাবুতে আছি, সাথে আমার মেয়েও আছে। চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় ভয়ে থাকি, মনে হয় হয়ত কেউ আসছে।

পুলিশ বলছে, সম্প্রতি আসিফাকে মাদকাসক্ত করে আটজন মিলে পাঁচদিন ধরে মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে মাথায় পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়; যা বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

ওই ক্যাম্পেরই এক বাসিন্দা রেসনা বিবি তার দশ বছর বয়সী নাতনির দিকে দেখিয়ে বললেন, আসিফা এত বড়ই ছিল।

জম্মু-কাশ্মীর একমাত্র মুসলিম প্রধান রাজ্য হলেও জম্মু এলাকায় হিন্দু বেশি। মুসলিমরা সাধারণত অতিরিক্ত শীত থেকে বাঁচতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এই এলাকায় আসে। কিন্তু স্থানীয় হিন্দুদের তোপের মুখে পড়তে হয়। যদিও ঐসব ভূমির মালিকানা নির্দিষ্ট কোনো হিন্দুর নয়।

মোহাম্মদ বলেন, জম্মু থেকে শ্রীনগরের দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। আমরা জম্মু ছেড়েছি তিন দিন পূর্বে। আরো দুই সপ্তাহ লাগবে মূল শহর শ্রীনগরে পৌঁছতে।

রেসনা বিবি বলেন এটা কোনো জীবন নয়, আমি চাই আমার সন্তান লেখাপড়া করুক।


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন