ইরানের পরমাণু ইস্যুতে ট্রাম্প ম্যাক্র্যোঁর বৈঠক

  22-04-2018 05:25AM

পিএনএস ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে হোয়াইট হাউসে আলোচনা হয়। যদিও ২০১৫ সালে ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এবং ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সাথে আলোচনায় বিষয়টি এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে উঠে আসে।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে ঐতিহাসিক এই চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি। চুক্তির আওতায় ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখার ব্যাপারে একমত হয়।

এর বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হয়। তবে শুরু থেকে এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পরমাণু চুক্তি ইরানের জন্য সহনীয় ছিল। ইরানকে ভারী-পানির সীমা অতিক্রম এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশটির পক্ষে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ইরান চুক্তির শর্তগুলো না মানলেও নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার সুবিধাগুলো ঠিকই ভোগ করছিল। ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে যেকোনো সময় সরে যাওয়ার অধিকার রাখে।

এদিকে জানুয়ারিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিকে একটি আলিমের্টাম পাটিয়েছেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ত্রুটি গুলো তুলে ধরবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিরস্ত্রীকরণের রাষ্ট্রদুত রবার্ট ওয়্যাড গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলেন, মে মাসের ১২ তারিখে ওয়াসিংটনে তিনটি ইউরোপিয় মিত্রদেশের সাথে আলোচনা হবে এবং সেখানে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নতুন স্থগিতাদেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে যে, তারা যদি এ চুক্তি প্রত্যাহার করে তবে এর প্রতিক্রিয়া অপ্রীতিকর হবে। ইরান পরমাণু কর্মসুচি নিয়ে আলোচনায় বসবে ইরান।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন