শান্তিনিকেতনে মোদী-হাসিনার বৈঠকে নজর দক্ষিণ এশিয়ার

  25-05-2018 11:08AM

পিএনএস ডেস্ক : সরাসরি কূটনৈতিক সফর নয়, তবে ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর দেখা মানেই তাতে আন্তর্জাতিক কূটনীতির অন্যতম আলোচিত বিষয়৷ বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ মোদী-হাসিনার বৈঠকের দিকে লক্ষ্য রাখছে৷ দুই প্রধানমন্ত্রীর মাঝে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷-খবর কলকাতা২৪।

বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, শান্তিনিকেতনের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ মিনিট সময় ধার্য করা হয়েছিল৷ পরিস্থিতি অনুধাবন করে সেই বৈঠকের সময় ৬০ মিনিট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসা নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে৷

ঢাকার কূটনৈতিক মহল মনে করছে, হাসিনা-মোদীর বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি বিশেষ গুরুত্ব পাবে৷ পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নয়াদিল্লি ও ঢাকার যৌথ পদক্ষেপ আরও কতটা শক্তিশালী করা যায় সেই সংক্রান্ত কিছু বিষয় থাকতে পারে আলোচনায়৷ ফলে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন কয়েক ঘণ্টার জন্য আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রভূমি৷

দুই রাষ্ট্রের মধ্যে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়েও কিছুটা কথা হবে৷ কারণ ইস্যুটি বাংলাদেশের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ যদিও আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিস্তার জল এমনিতেই কম তাই বাংলাদেশ অন্য কোনও নদীর জল নিতে পারে৷ দিল্লিতে সেই আলোচনা মীমাংসা না হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন শেখ হাসিনা৷ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তিস্তার জলবন্টন হলে তাঁর অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে৷

মোদী-হাসিনা বৈঠকে কী কী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে চিন-মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্র৷ এর মধ্যে মায়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে বন্দিত৷ আবার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা৷ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গি সংগঠনগুলি ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতা ছড়াতে তৎপর৷ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, এই দেশেও হচ্ছে অনুপ্রবেশ৷ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকারের উপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য ভারতকে আহ্বান জানাতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৈঠকের দিকে তাকিয়ে মায়ানমার সরকার৷

সম্প্রতি চিন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘিরে কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়েছে নয়াদিল্লি৷ পরে ঢাকার তরফে জানানো হয়, চিনকে নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই ভারত আমাদের বড়বন্ধু৷ বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, চিন থেকে বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার ক্রয়, বাংলাদেশে চিনের বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে মোদী-হাসিনার৷ স্বাভাবিকভাবেই চিনও নজর রাখছে বৈঠকে৷

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন