ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘উলফা’

  26-05-2018 01:07AM

পিএনএস ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন ভূমিকায় আসছে ‘উলফা’। তাদেরকে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ঠেকাতে দেখা যাবে। উলফা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া ভারত সরকারের কাছে এমনটাই প্রস্তাব করেছেন।

গৌহাটিতে কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার(২৪ মে) চেটিয়া সাংবাদিকদের বলেন, উলফার প্রায় ২ হাজার ক্যাডার বর্তমানে অস্ত্র বিরতিতে রয়েছেন। আর খবর মিলছে যে, বাংলাদেশিদের বিএসএফ টাকার বিনিময়ে ভারত সীমান্তে ঢুকতে দিচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, কেবলমাত্র আদিবাসীরাই তাদের মাতৃভূমি রক্ষায় অধিকতর দায়িত্বশীল।

তারাই বিশ্বস্ততার সঙ্গে বেআইনিভাবে বাংলাদেশিদের ভারতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারে। সেকারণে আমরা সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে একটি নতুন বাহিনী গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছি। এর ফলে আমাদের ক্যাডারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যাবে। খবর দি হিন্দু অনলাইন।

অনুপ চেটিয়া এদিন সাংবাদিকদের কাছে উলফার সঙ্গে ভারত সরকারের চলমান সংলাপের সর্বশেষ অবস্থাও তুলে ধরেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ২০১০ সালে উলফার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের যে শান্তি আলোচনা চলছে, তার আওতায় আরও কয়েকটি বিষয়ের সুরাহা ঘটলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উলফা বিলোপ করা হবে। এর মধ্যে আসামের সার্বভৌমত্বের দাবি আদায়ে ১৯৭৯ সালে উলফা গঠনের পর থেকে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা তুলে নিতে হবে। এছাড়া,৬টি জাতিগত সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি হিসেবে ঘোষণা এবং আসামের আদিবাসীদের ভূমিকার অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে।

উলফা ২০১১ সালে জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ তৈরি করতে সংবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাসের উদ্যোগ নেওয়া হলে উলফার দাবি আরও জোরদার হয়।

দি হিন্দু বলেছে, ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার এখন কথিতমতে তার আগেই চুক্তি চান। কারণ সরকার উলফার পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন উলফা (স্বাধীন) কে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছেন।

বৃহস্পতিবার গৌহাটি ডেটলাইনে দি হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম উলফা সাংবাদিকদের বলেছে, আসামে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ -এর ব্যর্থতা পূরণ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে উলফা এখন ভূমিকা রাখবে। সীমান্তে তারা সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে কাজ করবে। উলফার সাবেক ক্যাডারদের নিয়ে একটি অস্ত্রবিহীন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উলফার সঙ্গে লিয়াজোকারী এ.বি. মাথুরের মাধ্যমে গৌহাটিতে উলফা নেতাদের মধ্যে উল্লিখিত বৈঠক হয়েছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন