যে কারণে কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর পদ থেকে আনোয়ার চৌধুরীকে প্রত্যাহার

  14-06-2018 03:48PM

পিএনএস ডেস্ক : ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ কেইম্যান আইল্যান্ডে সদ্য নিয়োগ পাওয়া আনোয়ার চৌধুরীকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছে ব্রিটিশ সরকার। তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আসায় তদন্তের স্বার্থে এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

বুধবার কেইম্যান আইল্যান্ডের হেড অব গর্ভমেন্ট প্রেমিয়ার আলদেন ম্যাকলাইন জানিয়েছেন, আনোয়ার চৌধুরীকে ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই থাকবেন। আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। আনোয়ার চৌধুরীর অবর্তমানে কেইম্যান আইল্যান্ডে ভারপ্রাপ্ত গর্ভনরের দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান ডেপুটি গর্ভনর ফ্রাঞ্জ মেন্ডারসন।

কেইম্যান থেকে প্রকাশিত নিউজ সার্ভিসে প্রেমিয়ার আলদেন ম্যাকলাইনের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের ওভারসিস মিনিস্টার লর্ড আহমেদ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে তাকে কেইম্যান আইল্যান্ড থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। কি কারনে এবং কেন তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, এই বিষয়টি এখনই জনসন্মুখে প্রকাশ করতে চাইছে না ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিস।

প্রেমিয়ার আলদেন জানিয়েছেন, তিনি ডেপুটি গর্ভনর ফ্রাঞ্জ মেন্ডারসনকে ইতমধ্যে অবিহিত করেছেন। প্রেমিয়ার ম্যাকলিন আরো জানিয়েছেন, আনাকাঙ্খিত এই খবরটি তিনি কেইম্যান আইল্যান্ডের স্পিকার, ক্যাবিনেট, বর্তমান সরকার এবং বিরোধী দলকে অবহিত করেছেন। তার আশা এই ঘটনা কেইম্যান আইল্যান্ডের সুশাসনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে ব্রিটেনের কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সিলেটের কৃতি সন্তান, ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরী। এদিন তাকে রাজকীয় অভ্যর্থনায় বরণ করে নেয় দ্বীপবাসী। গত বছর যুক্তরাজ্যের ওভারসিজ টেরিটরি কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। তিনি কেবল প্রথম বাংলাদেশিই নন, প্রথম এশিয়ান হিসেবেই কোনো ব্রিটিশ নাগরিক যিনি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কোনো আইল্যান্ডের প্রধান বা গর্ভনর হিসেবে নিয়োগ পান। প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী, গভর্নর এ দ্বীপের প্রধান। ব্রিটেন থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের প্রধান বা গর্ভনর নিয়োগ দেওয়া হয় হোয়াইট হল থেকে।

প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী, গভর্নর এ দ্বীপের প্রধান। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শে রাণী গভর্নর নিয়োগ দেন। আর গভর্নর দ্বীপের প্রশাসন চালাতে নিয়োগ দেন একজন প্রিমিয়ার ও একটি কেবিনেট। বিশ্বের অন্যতম ফাইনানশিয়াল সেন্টার হিসেবে পরিচিত কেইম্যান আইল্যান্ডের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয় ব্যাংকিং, হেজ ফান্ড, বিনিয়োগ এবং ক্যাপ্টিভ ইন্সুরেন্স ও সাধারণ কর্পোরেট কার্যক্রম ঘিরে। কেইম্যান আইল্যান্ড হলো বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ব্যাংকিং সেন্টার যেখানে ২৭৯টি ব্যাংক রয়েছে এবং এর মধ্যে ২৬০টি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের জন্য অনুমোদিত।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন