পিএনএস ডেস্ক: তুরস্কে দুই বছরের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সেদেশের সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।
সম্প্রতি তুরস্কের নির্বাচনে জয়লাভ করেন প্রেসিডেন্ট রজব তায়েব এরদোগান। এরপর জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার তার অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল।
জরুরি অবস্থা জারির পর সাতবার এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। যদিও বিরোধীরা ও পশ্চিমা বিশ্ব জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির সমালোচনা করে আসছিল।
তুরস্কের সরকারের অভিযোগ করে আসছে যে , যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্মীয়নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের মদদে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে গুলেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় বিরোধী পক্ষের প্রার্থীরা ও অঙ্গীকার করেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই তারা জরুরি অবস্থার সমাপ্তি টানবেন।
জরুরি অবস্থা জারির পর থেকে এক লাখ সাত হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারি চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে ৫০ হাজার মানুষকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত ও কারাবন্দি অনেকেই দেশটির নির্বাসিত ইসলামিক নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থক। গুলেন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত রয়েছেন। গুলেনকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের জন্য দাবি করে আসছে সে দেশের সরকার। তিনি একসময় এরদোগানের মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরেস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার সময় সামরিক উড়োজাহাজ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলা চালানো হয়। সে সময় ২৫০ জনের বেশি নিহত হন। সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা।
পিএনএস/আনোয়ার
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার তুরস্কে
19-07-2018 03:00PM