ইমরানকে জেতাতে গোপন মিশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী

  23-07-2018 07:10PM

পিএনএস ডেস্ক : আগামী বুধবার নির্বাচন হতে চলেছে পাকিস্তানে! জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। সমস্ত পক্ষই এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক প্রচারে। কিন্তু এরই মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ! সেনাবাহিনী নাকি গোপনে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চালাচ্ছে।

যদিও পাকিস্তান সেনা এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পালটা বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ করতে ভোটের দিন সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ৭১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে।

পাকিস্তানে ভোটের আগে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উঠেছে যে, সেনাবাহিনী পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। এবং তারা এই কাজে সংবাদমাধ্যমকে এমনভাবে ব্যবহার করছে যাতে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে।

বিশেষ করে নির্বাচনের আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও তার কন্যাকে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দেখছেন পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পাক সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোর ভেতরে ও বাইরে তিন লাখ ৭১ হাজার ৩৮৮ জন সেনা মোতায়েন থাকবে যা ২০১৩ সালে হওয়া ভোটে মোতায়েন সেনার চেয়ে তিনগুণ বেশি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনী আসন্ন ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেনাবাহিনী ইমরান খানের দলকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নেতিবাচক জবাব দিয়ে জেনারেল গফুর বলেন, “আমাদের কোনও রাজনৈতিক দল নেই। আমরা কারও আনুগত্য করি না।” ইমরান খান এরইমধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দলের আঁতাতের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন