কিম সব পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করতে ইচ্ছুক: মুন

  13-10-2018 10:53AM


পিএনএস ডেস্ক: দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন জানিয়েছেন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন সব পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়াও খুব তারাতারি তিনি কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দিবেন। শুক্রবার প্রকাশিত বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য দেন মুন। খবর বিবিসির।

‘পূর্ণাঙ্গ’ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য অর্জনে কিম জং উন সব পারমাণবিক অস্ত্র, উপকরণ এবং সুবিধাসমূহ ধ্বংস করতে ইচ্ছুক বলে জানান দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট।

কিমের ইচ্ছা সম্পর্কে মুন বলেন, পূর্ণাঙ্গ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দ্বারা তিনি অতিরিক্ত পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ শুরু করা, তারপর পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত করে এমন সুবিধাসমূহ এবং বিদ্যমান সব পারমাণবিক অস্ত্র ও উপকরণ ধ্বংস করাকে বুঝিয়েছেন।

পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক আলোচনায় স্থবিরতা দেখা দিলে ইউরোপীয় নেতারা এগিয়ে আসবেন বলেও মন্তব্য করেন মুন। তিনিই গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছেন।

চলতি বছরেই তিনবার দেখা হওয়া কিম জং উনকে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াতে কূটনৈতিক ‘বাধা ও দাগ’ পেরুতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মুন। উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণে শরণার্থী হয়ে আসা পরিবারের সন্তান মুন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিমকে ‘অকপট’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।

ওই সাক্ষাৎকারে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা শিগগিরই আসছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুন। আনুষ্ঠানিক শান্তিচুক্তি হতে ‘কেবল সময়ের অপেক্ষা’, বলে মন্তব্য করেন তিনি।

১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা ওই যুদ্ধ অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে শেষ হলেও, যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বৈঠকের পর শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা বাড়ে।

কোরীয় যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দিতে ট্রাম্প ও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দীর্ঘ আলোচনা’ হয়েছে বলে জানান মুন।

তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়, তাহলে যুদ্ধ শেষের ঘোষণাটি রাজনৈতিক বিবৃতিতে পরিণত হবে, যার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে চলে আসা দীর্ঘদিনের শত্রুতার অবসান ঘটবে।’ ‘যত দ্রুত সম্ভব’ এই চুক্তি করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বোঝাপড়া আছে বলেও জানান তিনি।

যুদ্ধ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বেদনা ধরতে পারেন বলেই কোরীয় উপদ্বীপে যেন আর যুদ্ধ ফিরে না আসে, তার জন্য কাজ করে যেতেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মুন। -বিবিসি ও রয়টার্স

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন