ভারতে দেহরক্ষী গুলি করলেন বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে

  14-10-2018 08:58AM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের গুরগাঁও জেলায় বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছেন তারই দেহরক্ষী। গুলি করার পরে সেই দেহরক্ষী আবার ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন সেই বিচারককে। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সেখানকার একটি ব্যস্ত শপিংমলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মহিপাল সিং। বিচারকের দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালনরত মহিপাল সিং পুলিশের কনস্টেবল। গত দুই বছর ধরে গুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত সেশন জজ কৃষ্ণ কান্ত শর্মার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

দেহরক্ষী মহিপালের গুলিতে আহতরা হলেন, বিচারক কৃষ্ণ কান্তের স্ত্রী রিতু (৩৮) ও ছেলে ধ্রুব (১৮)। ঘটনার সময় তারা মহিপালকে নিয়ে সেখানকার আকেদিয়া মার্কেটে শপিং করতে যান। মহিপালই তাদের ব্যক্তিগত গাড়িটির চালকের দায়িত্বে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মহিপাল মার্কেটের সামনে প্রথমে রিতু ও পরে ব্রুবকে গুলি করেন। পরে নিজেই তাদের প্রাইভেটকারে তোলার চেষ্টা করেন। তবে মহিপাল তাতে ব্যর্থ হয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মহিপাল গাড়ি চালানো অবস্থায় বিচারক কৃষ্ণ চন্দ্রকে ফোন করে তার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করার কথা জানান। এর পর তিনি স্থানীয় থানায় গিয়ে একটি ফাঁকা গুলি করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে ফরিদাবাদ থেকে মহিপালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তারা এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই দেহরক্ষী মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তিনি ওই বিচারকের পরিবারের ব্যবহারে বিরক্ত ছিলেন। অভিযুক্ত মহিপালের বাড়িও হরিয়ানাতেই। তার স্ত্রী পেশায় স্কুলশিক্ষক। এই দম্পতির তিন ও সাত বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, রিতু ও ব্রুব মা-ছেলে দুজনই আশঙ্কামুক্ত।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন