চীন-রাশিয়ার মোকাবেলায় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে জাপান

  18-12-2018 10:19PM

পিএনএস ডেস্ক : জাপান আগামী পাঁচ বছরে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র কেনা বাড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক দু’টি প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।

এই পরিকল্পনায় জাপান আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে জাপানের আগ্রহই প্রকাশ পেয়েছে। কারণ সেখানে চীন তাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলছে। পুনরায় আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট রয়েছে রাশিয়াও। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ হিসেবে এসব দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে জাপানকে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অনুমোদিত একটি প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। কিন্তু এখন আবার দেশে দেশে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা চীন ও রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই কৌশলগত প্রতিযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন জাপানের কাছাকাছি সমুদ্রে টহল দিতে আরও জাহাজ ও বিমান মোতায়েন করছে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম ধ্বংস করেনি। আবার রাশিয়াও জাপানের আকাশ প্রতিরক্ষার শক্তি পরীক্ষা চলেছে। সোমবার রাশিয়া জানায়, তারা জাপানের কাছ থেকে দখল করে নেয়া একটি দ্বীপে সৈন্য মোতায়েন করতে নতুন ব্যারাক নির্মাণ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাপান ৪৫ টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এই বিমানগুলো কিনতে ব্যয় হবে ৪০০ কোটি ডলার। ইতি মধ্যেই তারা ৪২ টি বিমানের অর্ডার দিয়ে রেখেছে। এগুলোর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে দু’টি রাডারও কিনবে জাপান। যুদ্ধবিমানে জ্বালানি সরবরাহের জন্য কেনা হবে দু’টি বোয়িং বিমান। টহলদারির জন্য কেনা হবে আরও নয়টি বিমান।

আগামী পাঁচ বছরে জাপান সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ২২৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জাপান তাদের মোট জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে। কিন্তু তাদের অর্থনীতি এত বড় যে এই দিয়েই তারা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন