পিএনএস ডেস্ক : ভারতে নাগরিকদের স্থূলতা বৃদ্ধি দেশটির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দুর্বল আর্থিক কল্যাণ ব্যবস্থা ও তামাক ব্যবহারে সেখানে মানুষের কর্মক্ষমতা দিন দিন কমছে।
উইলিস টাওয়ারস ওয়াটসন পরিচালিত ইন্ডিয়া হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং স্টাডি শিরোনামে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণার ফল অনুযায়ী, কর্মজীবীদের কাজের চাপ মোকাবেলায় হিমশিম খাওয়ার বিষয়টি নিয়োগকর্তাদের জন্য কর্ম এলাকায় একটি প্রধান দৃশ্য। এতে বলা হয়েছে, শতকরা ৮০ ভাগ সংগঠন ২০১৮ সালে তাদের নির্বাচিত কর্মচারীদের ওপর চাপ ও আচরণগত স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে অন্তত একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ৮৯ শতাংশ নির্বাচিত 'শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে, গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি রিপোর্ট, ব্রোকিং অ্যান্ড সলিউশন কম্পানি মঙ্গলবার এসব তথ্য প্রকাশ করে। কর্মীদের শারীরিক কর্মক্ষমতার অভাব (৬২ শতাংশ) এবং চাপ (৫৫ শতাংশ) তাদের জীবনধারার ওপর একটি বড় ঝুঁকি বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
অন্য বড় উদ্বেগের বিষয় হলো স্থূলতা (৪৩ শতাংশ), দুর্বল আর্থিক সুবিধা (২৭ শতাংশ) এবং তামাক ব্যবহার (২৫ শতাংশ)। গবেষণা মতে, ৬৬ শতাংশ নিয়োগকর্তা ইতিমধ্যেই তাদের কর্মীদের জন্য মানসিক চাপ বা মানসিক স্বাস্থ্য কৌশল গড়ে তুলছেন এবং ১৭ শতাংশ ২০২১ সালের জন্য এ কৌশল গ্রহণের কথা বিবেচনা করছেন।
কর্মীদের চাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সেগুলো হলো কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ কাজের সুযোগ (৬৮ শতাংশ) প্রদান করা, অন-সাইট স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইন্টারভেনশন (৪৬ শতাংশ) প্রদান, কর্মীদের সহযোগিতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন (৪০ শতাংশ), স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ট্রেনিং (৩৮ শতাংশ) প্রদান এবং কর্মীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (৩৮ শতাংশ) প্রদান।
সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
পিএনএস/জে এ
ভারতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কর্মীদের কর্মক্ষমতার অভাব
21-02-2019 06:29PM