স্ত্রীকে হত্যার আগে দেখে নেন শরিয়ায় পরকীয়ার শাস্তির বিধান

  16-04-2019 03:09PM

পিএনএস ডেস্ক : ইসলামে পরকীয়ার শাস্তির কী বিধান রেখেছে সে বিষয়ে অনলাইনে সার্চ দিয়ে দেখেন তিনি। এরপর তিনি তার স্ত্রীকে খুন করেন। অস্ট্রেলিয়ার আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার তথ্য-প্রমান এমনটাই বলছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি নিবাসী স্বামী-স্ত্রী উভয়েই প্রবাসী বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম শিহাব আহমেদ। তার স্ত্রীর নাম খন্দকার ফাইহি ইলাহি। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে সিডনির পারমাত্তা ইউনিটে বাস করতেন।

তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, তিনি তার স্ত্রীকে খুন করেননি। তবে তিনি অনিচ্ছাকৃত মানুষহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

আজ এনএসডব্লিউ সুপ্রীম কোর্ট তিনি তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে তিনি তার স্ত্রীকে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে ১৪ বার ছুরিকাঘাত করেন। তার দাবি, তিনি সে সময় মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।

কিন্তু তার এই দাবির বিরোধিতা করেছেন প্রসিকিউটর।

আদালতে আর্জিতে বলা হয়েছে, শিহাব আহমেদ তার সহকর্মী ওমর খানের সঙ্গে পরকীয়ার জন্য 'তার স্ত্রীকে শাস্তি দিতে মনস্থির করেছিলেন'। তিনি হত্যার অভিপ্রায় নিয়ে কিংবা তার গুরুতর শারীরিক ক্ষতির উদ্দেশে ওই কাজ করেছিলেন।

প্রসিকিউটর স্টিভেন হিউজেস আদালতে জানান, পরকীয়ায় ইসলামের শাস্তির বিধান জানতে হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস ইন্টারনেট অনুসন্ধান করেছিলেন শিহাব আহমেদ। এ বিষয়ে তিনি আদালতে প্রমানাদি উপস্থাপন করবেন।

স্টিভেন হিউজেস জানান, হত্যাকাণ্ডের আগমুহূর্তে তার স্ত্রী এবং ওমর খানের মধ্যে ফোন বার্তা পেয়েছিলেন শিহাব আহমেদ।

স্ত্রীকে হত্যা করার পর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেন, ' যাক শেষ হলো'। এরপর তিনি একটি সিগারেট ধরান এবং ট্রিপল জিরো নম্বরে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন।

পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, ওমর খান আদালতে স্বীকার করেছেন যে, তার সঙ্গে শিহাবের স্ত্রী ফাইহি ইলাহির ২০১৫ সালের জুলাই মাসে থেকে সম্পর্ক তৈরী হয়।

আদালতের প্রসিকিউটর স্টিভেন হিউজেস ওমরকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি তাকে আবেগঘন চুমু দিয়েছেন?

জবাবে ওমর বলেন, হ্যাঁ, তবে সময় না। আর পাবলিক প্লেসে আমি এ রকম কখনোই করিনি।

ওমর আদালতে জানান, তারা মাঝেমধ্যে পরস্পরের হাত ধরতেন এবং 'গিফট' আদান-প্রদান করতেন। তবে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক ছিল না।

ওমর খান জানান, তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে শিহাবকে চেনেন। তাদের তিনজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

সূত্র : এবিসি অস্ট্রেলিয়া, নিউজ ডট কম অস্ট্রেলিয়া

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন