বায়তুল মোকাদ্দাসে মুরসির গায়েবানা জানাজা

  19-06-2019 07:55AM



পিএনএস ডেস্ক: ইসলাম ধর্মের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান পবিত্র মসজিদ আল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাসে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত (কারাবন্দি) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিচারের শুনানিকালে আদালতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাফেজ মোহাম্মদ মুরসি, খবর ডেইলি সাবাহ।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে এশারের নামাজের পর এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইতিমধ্যে গাজা উপত্যকা ও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে মুরসির অবস্থানের কথা স্মরণ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

গাজা শাসন করা সংগঠনটির সোমবারের (১৭ জুন) বিবৃতিতে উপত্যকাটির এক দশকের অবরোধ তুলে নিতে মুরসির অবস্মরণীয় ও সাহসী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

২০০৭ সালে উপত্যকাটি হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর গাজার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল ও মিসর। যদিও পরবর্তী সময়ে সেখানে ভ্রমণ ও বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে কায়রো।

এদিকে, মিসরের শহীদ সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

মিসরে মুরসির জানাজার সময়ে সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার (১৮ জুন) তুরস্কে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বিশাল গণঅভ্যুত্থান। এতে পদচ্যুত হন হোসনি মোবারক। এরপর মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্রাদারহুডের হাফেজ মোহাম্মদ মুরসি।

কিন্তু ২০১৩ সালে গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

২০১৩ সালে মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন। আদালত হাফেজ মোহাম্মদ মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন