পিএনএস ডেস্ক: জামাল খাশোগিকে হত্যায় স্বতন্ত্রভাবে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানায় যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের তৈরি করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক কমিটিকে এসব প্রমাণ আবারও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে হত্যা করে সৌদি এজেন্টরা। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলছে যে তারা প্রিন্স মোহাম্মদের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করেনি।
খাশোগিকে হত্যার দায়ে এরইমধ্যে অজ্ঞাত ১১ জনকে রুদ্ধদ্বার বিচারের আওতায় এনেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষের এই বিচার আন্তর্জাতিক পদ্ধতিগত এবং বাস্তব মানসম্মত হয়নি উল্লেখ করে ক্যালামার্ড এটি স্থগিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সৌদি প্রিন্সকে তদন্তের মুখোমুখি করা উচিত।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশ করার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি।
প্রথম থেকেই তুরস্ক দাবি করে আসছিল যে তাকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমে দাবিটি অস্বীকার করলেও পরে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা একথাও স্বীকার করে যে এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) জানায়, মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে খাশোগিকে হত্যার আদেশ দেন।
তুরস্কের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রকাশ করা ভিডিওটিতে খাশোগিকে হত্যাকারী দলটিকে একটি ব্যাগ বহন করতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাগটিতে জামাল খাশোগির মরদেহের খণ্ডিতাংশ ছিল।
পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম
‘খাশোগিকে হত্যায় সৌদি প্রিন্সের সম্পৃক্ততার প্রমাণ আছে’
20-06-2019 06:59AM