গৃহ পরিচারিকার সঙ্গে তৃণমূল নেতার পরকীয়া নিয়ে তোলপাড়! (ভিডিও)

পিএনএস ডেস্ক: এবার আদিবাসী গৃহ পরিচারিকার সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের এক তৃণমূল নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের বেলাড়িতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঐ আদিবাসী নারীর স্বামী এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়দীপ পালকে আটক করে স্থানীয় এক স্কুল বাড়িতে বেঁধে রাখেন। অভিযুক্তের কাছে চাওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

জানা গেছে, তৃণমূল নেতা জয়দীপ আউশগ্রামের বিল্লগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূলের ফাইভ ম্যান কমিটির সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে কাজ করছেন বেলাড়ি গ্রামের তাঁতপুকুর পাড় এলাকার ওই আদিবাসী নারী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে মহিলার স্বামী কাজে চলে যাওয়ার পর, তার বাড়িতে যান এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ঐ নারীর স্বামী বাড়িতে ফিরে আসেন। এবং দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ঘরের মধ্যে পাকড়াও করেন। এরপরই এলাকার লোকজনকে ডেকে অভিযুক্ত জয়দীপ পাল ও নিজের স্ত্রীকে স্থানীয় স্কুল বাড়িতে বেঁধে রাখেন তিনি। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে এদিনই সেখানে যায় পুলিশ। তবে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রয়েছে এলাকা। ঐ নারীর স্বামী এবং বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, ১৫ লক্ষ টাকা এবং কিছু জমি লিখে দিলে তবেই ছাড়া পাবেন অভিযুক্ত নেতা। না হলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

জয়দীপ পাল তৃণমূল নেতা হওয়ার পাশাপাশি বড় পারিবারিক ব্যবসা করেন। পৈতৃক সম্পত্তিও অনেক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার স্ত্রী ও ছেলে থাকে বর্ধমানে। ঐ আদিবাসী গৃহ পরিচারিকা দীর্ঘদিন ধরেই তার বাড়িতে কাজ করছেন। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। নারীর স্বামী জানিয়েছেন, অনেকদিন আগেই এই সম্পর্কের বিষয়ে তার সন্দেহ হয়েছিল। হাতেনাতে দু’জনকে পাকড়াও করতেই বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়দীপ পাল। তার দাবি, রাতের অন্ধকারে ঐ আদিবাসী গৃহ পরিচারিকাকে নিজের বাড়িতে ছাড়তে এসেছিলেন তিনি। তখনই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে।



পিএনএস/আনোয়ার