করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সরঞ্জামাদির সংকটে চীন, আতঙ্কে ভুগছে জনগণ!

  26-01-2020 04:34PM

পিএনএস ডেস্ক: চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির চিকিৎসকেরা। এছাড়া হুবেই প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভাইরাসের চিকিৎসা দেয়ার সরঞ্জামাদি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলেও জানা গেছে। ফলে আতঙ্কে ভুগছে দেশটির জনগণ।

হুবেই প্রদেশের শিয়াওগান ফার্স্ট পিপলস হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, কয়েকদিন আগেই আমাদের সুরক্ষিত স্যুট শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা আপাতত 'ডিসপোজেবল রেইনকোট' ব্যবহার করছি।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুবেই প্রদেশের উহানের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করা ও তাদের চিকিৎসা দেয়ার মত পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি নেই। হুবেইর আরেক শহর শিয়াংইয়াংয়ে ৫ লাখ মানুষের বাস, কিন্তু ভাইরাস নির্ণয় ও সেটির চিকিৎসার মতো একটি হাসপাতালও শহরটিতে নেই বলে দাবি করেছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। তবে শহরটির স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান বলেছেন, আমরা স্থানীয় হাসপাতালের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখছি।

দেশটির যোগাযোগমাধ্যমেও সাহায্য চেয়ে পোস্ট করছেন অনেক নাগরিক। এক ব্যক্তি লিখেছেন, দয়া করে আমাদের কথা কেউ ভুলে যাবেন না। আমরা জানি না আর কতোদিন বাঁচবো। চিকিৎসার জন্য আমাদের সরঞ্জামাদি দরকার, সবাই আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।

রোববার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬ জন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। এছাড়া নতুন এ ভাইরাসে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে উহান শহরের হাসপাতালে কর্মরত এক নার্স দাবি করেছেন, উহান শহর ও পুরো চীনজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার।

নতুন ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শনিবার চীনের নববর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে করা এক বিশেষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশ 'মারাত্মক পরিস্থিতি'র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের ১১ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশগুলো।

গত বছরের ডিসেম্বর চীনের উহান শহরেই প্রথম করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর প্রধান লক্ষণ জ্বর, শুষ্ক কাশি ও শ্বাসকষ্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে খুব গুরুতর মনে না হলেও শেষ পর্যন্ত এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন