করোনাভাইরাসে ইরানে মৃত্যু ১

  13-02-2020 08:21AM

পিএনএস ডেস্ক: করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ইরানে এক নারীর প্রাণহানি ঘটেছে বলে বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় দৈনিক ইরান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে ওই নারীর প্রাণহানির খবরে কোনও সূত্রের উল্লেখ করেনি ইরানি এই দৈনিক।

দৈনিক ইরান বলছে, সোমবার তেহরানের একটি হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সী এক নারী মারা গেছেন। তার মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে ওই নারীর প্রাণহানি নিয়ে দৈনিক ইরান যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে; তা অস্বীকার করেছেন ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপোর। তিনি বলেন, ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কোনও ঘটনা নেই।

ইরানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বারবার বলছে, দেশে করোনাভাইরাসের কোনও ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে গত ৩১ ডিসেম্বর এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। মঙ্গলবার চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনায় মারা গেছেন ৯৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ১১৩ জনে পৌঁছেছে।

হুবেইর গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে। ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এই প্রমোদতরীতে বুধবার পর্যন্ত ১৭৫ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

চলতি মাসে করোনায় সর্বনিম্ন আক্রান্ত হয়েছেন মঙ্গলবার। ওইদিন চীনে ২০১৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। নতুন করে করোনা আক্রান্ত কমে আসায় আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হতে পারে বলে আশা করছেন চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। জানুয়ারির পর থেকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মঙ্গলবার; যে কারণে তাদের এই আশায় স্বস্তি খুঁজছেন অনেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুইজারল্যান্ডে এক বৈঠকে চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসের নামকরণ করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে কোভিড-১৯ (Covid-19) নামে। করোনার প্রথম দুটি অক্ষর সিও (CO), ভাইরাসের প্রথম দুই অক্ষর ভিআই (VI), ডিজিজের প্রথম অক্ষর ডি (D) এবং ২০১৯ সালে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ায় ১৯ যোগ করে কোভিড-১৯ নামকরণ করা হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন