'ইন্ডিয়া' পায়ে হেঁটে ফিরছে বাড়ি! এ এক নতুন ভারত!

  29-03-2020 01:03PM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতে করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে! কী করা যাবে! আটকাতে তো হবেই। রাতারাতি লকডাউন। যদিও তার আগে এক দিনের ট্রেলর দেখেছিল ভারতবাসী। জনতা কারফিউ। তার দু'দিন পড়েই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করলেন মোদি সরকার। ঠিক ২০১৬-এর এক রাতের মতো। কেউ কিছু জানলো না হঠাৎ নোট বাতিল। কালো টাকা রুখতে সে লড়াই কতটা সফল ছিল বলা মুশকিল। তবে আজকের লড়াইটা একেবারেই অন্য। মানুষের বাঁচা মরার লড়াই।

লকডাউনের আগে একবারও আগে থেকে কেন ভাবা হয়নি সেই সব মানুষের কথা যারা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে ! এই প্রশ্ন ট্যুইটারে তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তারা রাতারাতি লকডাউনে দিশে হারা। ফিরতে পারছেন না বাড়িতে। ভিড় জমিয়েছেন বাস ডিপোতে। পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল রাস্তা পার হচ্ছেন শুধু মাত্র বাড়ি ফেরার আশায়। এক নতুন ভারত কে দেখছে দেশবাসী।

মানুষ লকডাউন মানছে শুধু নিজের জন্য নয়। সারা দেশের জন্য। একজনের জন্য যেন আর একজনের মৃত্যু না হয়। কিন্তু আজ দিল্লি উত্তরপ্রদেশ বর্ডারে মানুষের ভিড় সত্যিই ভাবতে বাধ্য করে। হাজার হাজার ভিনরাজ্যের শ্রমিক ভিড় জমিয়েছেন কাসুহাম্বি বাস ডিপোতে। তাদেরকে সরকার থেকে বলা হয়েছিল হাজারটা বাসের ব্যবস্থা করা হবে। সেই বাসের আশায় তারা ভিড় জমিয়েছে বাস ডিপোতে। কিন্তু সেই ভিড়ের ছবি দেখলে গায়ে কাঁটা দেয়। যেখানে করোনার জন্য কমকরে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে, মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। সেখানে এই শ্রমিকরা একজন আর একজনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। জায়গা নেই পা ফেলার। নেই পর্যাপ্ত খাবার। একটা বাসে যে পারছে আগে ওঠার চেষ্টা করছে। এই অব্যবস্থার জন্য অনেকেই মোদি সরকারকে দুষছেন।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এভাবে কি সত্যিই করোনা ভাইরাসকে আটকানো যাবে! কমুউনাল ইনফেকশন যদি এখানে হয় দেশ রক্ষা হবে তো? কারণ এই গরিব মানুষরাই কিন্তু আমাদের সমাজের ভিত্তি! এদের সুরক্ষা না দিতে পারলে গোটা দেশ কিভাবে বাঁচানো সম্ভব? এই প্রশ্নে এখন মুখর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রত্যেকে। তাই যে ভারতবাসীরা লকডাউনে থেকে দেশকে রক্ষা করছি ভাবছি তারাও কি এই মানুষগুলোর কথা ভেবে শান্তিতে ঘুমোতে পারবে? এই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। সূত্র : নিউজ১৮

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন