মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বলছেন ভারতীয় আলেমরা!

  02-04-2020 01:56PM

পিএনএস ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের সমাবেশ থেকে অনেকের ভেতর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ভারতে তীব্র সাম্প্রদায়িক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া প্রায় ১৫০ জনের বেশি ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভারতে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত দশটির সঙ্গে ওই তাবলীগ জামাত সমাবেশের সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

তাবলিগ জামাতের সমাবেশে যোগ দেয়া কয়েকজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভারতীয় মুসলিম নেতারা।

মুসলিম নেতারা বলছেন, ভারতে করোনা শনাক্ত হয় ৩০ জানুয়ারি। তারপর ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে বড় বড় সমাবেশের আয়োজন করেছিল। যা হাজার হাজার মানুষকে ভাইরাস সংক্রমণের বিপদে ফেলে। ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি সমর্থকরা দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজদের জড়ো করছিল।

এমনকি যখন লকডাউন ঘোষণা হয়ে গেছে, তখনও বিজেপি নেতা ও সমর্থকেরা বড় বড় জমায়েতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ৭০০ সাংসদ সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থেকেছে এবং ২৪ মার্চ এক বিশাল জমায়েত করে বিজয়োৎসব করছে।

তাবলীগ জামাতের ওই সমাবেশের সময়েই কয়েকটি বড় বড় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েত হয়েছিল। তার মধ্যে শিরডি সাইবাবা মন্দিরের জমায়েত, বৈষ্ণোদেবী তীর্থ যাত্রা, ১২ মার্চের তিরুমালার তীর্থযাত্রা উল্লেখযোগ্য, যেখানে একই সাথে ৬০ হাজারের বেশী পুন্যার্থী সমবেত হয়েছিলো।

এইসব জমায়েতগুলিকে যদি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত না করা হয়, তাহলে কোন যুক্তিতে তবলিগ জামাতের জমায়েতটিকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে? কেন একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে সকল দায় নিতে হবে? কেনই বা যথাযথ সরকারি অনুমতি নেবার পরেও মুসলমান সম্প্রদায়কে এককভাবে ধর্মীয় জমায়েতের জন্য অপরাধী বানানো হবে? যেখানে একই কাজ করেও অন্য ধর্ম সম্প্রদায়, রাজনৈতিক দলকে কিছু বলা হবে না?

এদিকে মহামারি চলাকালীন এভাবে এক জায়গায় হাজার হাজার লোক এনে সমাবেশের আয়োজন করে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বিরাট অপরাধ করেছে। এমন আলোচনাই চলছে ভারতীয় মিডিয়াসহ সাধারনের মধ্যে।

ভারতীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও মুসলিম সমাজকে আক্রমণ করে একের পর এক অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে।
তার কোনটির নাম, “ধর্মের নামে এ কোন প্রাণঘাতী অধর্ম?"। কোনও টিভি অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে, “করোনা-জিহাদ থেকে দেশকে বাঁচাও”।

দিল্লির রাজ্য সরকার তবলিগি জামাতের বিরুদ্ধে এই কারণে ফৌজদারী মামলা করেছে। কিন্তু তাবলিগের জমায়েতটি বেআইনি ছিল না। দিল্লি পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সহযোগিতা নিয়েই সেই জমায়েত সংগঠিত হয়েছিল।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সমাবেশকে যেভাবে আলাদা করে বেছে নিয়ে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে তা চরম নিন্দনীয় বলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিআই এম এল।

তারা বলছে, ভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশ থেকে ভারতে আসা বন্ধ করার এবং বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করতে নির্দেশিকা বা সতর্কতা জারি করার দায়িত্ব ও ক্ষমতা কেন্দ্র সরকারের; কেন্দ্র সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তার বদলে, মার্চ মাসের অর্ধেকটা পেরিয়ে যাওয়ার পরও, কেন্দ্র সরকার করোনা ভাইরাসের বিপদকে অস্বীকার করছিল এবং বিরোধী দলনেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করলে উল্টে তাদেরকেই “অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে” বলে অভিযুক্ত করছিল।

মামলার বিষয়ে ভারতে মুসলিমদের বৃহৎ সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানি এক বিবৃতিতে নিজামুদ্দিন মারকাজকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক প্রচার প্রসঙ্গে বলেন, যখন পুরো দেশই নয়; বরং গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করছে, তখন এই লড়াইকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়া অত্যন্ত হতাশাজনক এবং নিন্দনীয় বিষয়।

তাবলিগ জামাতের অনুষ্ঠান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে। এখন নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদারদের বিরুদ্ধে যদি এফআইআর করা হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর হওয়া উচিত। কারণ তাদের কারণে লকডাউনের আদেশের পরও রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় লাখো শ্রমিক জড়ো হয়েছিল।

তিনি বলেন, হঠাৎ লকডাউনের কারণে যদি কিছু মানুষ মারকাজে আটকা পড়ে যায় এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে এতে এমন কিছু হয়ে যায়নি। বরং এখন উচিত হল,তাদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

মাওলানা মাদানি আরও বলেছেন, হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা হওয়ায় পুরো দেশে কয়েক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। শুধু দিল্লিতেই নয় বরং অন্যান্য শহরগুলোতেও এমন দৃশ্য আমরা স্বচক্ষে দেখেছি যে বহু মানুষ এই অসহায় অবস্থায় লকডাউন ভেঙে যে কোনওভাবে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে আছে।

তিনি আরো বলেছেন যে, লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। বাইরে বেরুবেন না। এই নাজুক মূহুর্তে যদি কিছু মানুষ মারকাজে আটকা পড়ে যায়, তাতে আইন ভাঙার মতো কিছুই হয় নি।

তাছাড়া এই বিষয়টি আমরা জেনেছি যে মারকাজের জিম্মাদারগণ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এজেন্সিগুলোকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। এমনকি কিছু মানুষকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। তাই কোনভাবেই মারকাজকে দোষারোপ করা উচিত হবে না।

এতকিছুর পরও দেশটির গণমাধ্যম পরিস্থিতিকে একপেশে উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এটাকে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় রুপ দেয়ার এই চেষ্টাকে করোনা ভাইরাসের চেয়েও বড় হুমকি বলে উল্লেখ করে মাওলানা মাদানী বলেন, সরকারের জন্য এখন শুধু নোটিশ গ্রহণ করা উচিত নয় বরং তাৎক্ষণিকভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালানো বন্ধ করা উচিত।

নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে দেশি-বিদেশি মুসুল্লিদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারের অসহযোগীতারও অভিযোগ তুলেছেন আলেমরা। পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক রুপ দেয়ার চেষ্টা ‘করোনা’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইকে দুর্বল করে তুলবে বলে মত ভারতের শীর্ষ আলেমদের।

নিজামুদ্দীনের বিরুদ্ধে মিডিয়ায বিষোদ্গার করে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের নামান্তর বলে মত দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল’ বোর্ডের সহ-সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী।

তিনি বলেন, মিডিয়ার উচিত ছিল সরকার কর্তৃক একেবারে হঠাৎ কী করে লকডাউনের ঘোষণা দিল সে বিষয়ে আলোকপাত করা। কমপক্ষে ৪৮-৭২ ঘণ্টার সময় দেয়া উচিত ছিল, যেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া অন্যান্য এলাকার মানুষ নির্ভিগ্নে আপন আপন ঠিকানায় পৌঁছার সুযোগ পেত।

এ দিকে তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে মিডিয়ার চর্চিত কাহিনী মানবীয় অবক্ষয়ের চূড়ান্ত নমুনা বলে বিবৃতি দিয়েছে জামাআতে ইসলামী হিন্দ।

সংগঠনটির সর্বভারতীয় সভাপতি সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হোসাইনী তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে মিডিয়ার ঘৃণা ছড়ানোর তৎপরতাকে নিকৃষ্ট ধরনের রাজনীতি বলে উল্লেখ করেছেন এবং একে মানবীয় অধঃপতনের চূড়ান্ত অবস্থান ও লজ্জাজনক অপরাধ বলে তিনি সাব্যস্ত করেন।

তিনি বলেন, তাবলিগ জামাত এবং মারকাজ নিজামুদ্দিনের বিরুদ্ধে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার মানবীয় অধঃপতনকে সূচিত করছে। এত বড় মানবিক বিপর্যয়ে ঘৃণ্য রাজনৈতিক স্বার্থে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের লক্ষ্যে এর ব্যবহার একটি অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, তাবলিগ জামাতের যে প্রোগ্রাম নিয়ে বিতর্ক চলছে সেই সময় এবং তার পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চেয়ে বড় ধরনের ধর্মীয় এবং অধর্মীয় প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলোকে দৃষ্টি থেকে সরিয়ে দিয়ে শুধু মারকাজ নিজামুদ্দিনকে নিশানা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের বিতর্কের মান কত নিচে নেমে গেছে। এই লজ্জাজনক প্রচার এর কড়া নিন্দা হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

এদিকে, করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) ভারতে দিনদিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জন।

দেশটিতে করোনায় নতুন করে ৬০১ জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪৮ জন। এছাড়া সেখানে বর্তমানে ১ হাজার ৮২৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সবাই ভাল অবস্থায় রয়েছেন। এখনও কারও অবস্থা ক্রিটিকাল হয়নি।

এছাড়া ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাবিতে ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। ওই বস্তিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস করেন। মুম্বাইয়ের ঠিক কেন্দ্রে অবস্থিত ওই বস্তিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন বিশাল সংখ্যক মানুষ। যদি সেখানে ব্যাপক আকারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন মোদী।

এ ঘোষণার পর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় ভারতে সব ধরনের গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, জিম, সুইমিংপুল, পার্ক, অফিস-আদালত।

দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে বড় বড় শহরগুলোতে উঠে আসা লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকেই অর্থাভাবে এখন তিনবেলা খেতেও পারছে না। রাজ্য সরকারগুলো এই দিনমুজুরদের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ঘোষণা দিলেও এখনও তা মানুষের হাতে পৌঁছুচ্ছে না।

অনেক শ্রমিক উপায় না পেয়ে পরিস্থিতির চাপে পায়ে হেটেই দূরবর্তী গ্রাম বা ছোট শহরগুলোতে বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছে। এভাবে মালপত্র ও ছোট ছোট বাচ্চাদের কোলে-কাঁধে তুলে শত শত মাইল পথ পাড়ি দেয়ার সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে দেশটির লাখ লাখ নিম্নবিত্ত মানুষ।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৮৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ যাবৎ একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৯২।

এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৭২ জন। এটিও একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৭ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৮৯ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন।

এছাড়া বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৩৮ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬০ জনের অবস্থা সাধারণ। ৩৫ হাজার ৪৭৮ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।

এদিকে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইতালি। ইতালিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন। স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ১০২ জনের। চীনে ৩ হাজার ৩১২ জন। ফ্রান্সে ৪ হাজার ৩২ জন। ইরানে ৩ হাজার ৩৬ জন। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৩৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন