আবারও ভারতের তাজ হোটেল উড়িয়ে দেয়ার হুমকি

  01-07-2020 02:59PM

পিএনএস ডেস্ক: ভারতের মুম্বাইয়ে দুটি তাজ হোটেল আবারও বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে হুমকি দিয়ে ফোন আসে।

কোলাবার তাজমহল প্রাসাদ এবং বান্দ্রার তাজ ল্যান্ডস অ্যান্ড নামে এ দুই হোটেলের ল্যান্ডলাইনে ফোন আসে।

মুম্বাই পুলিশের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ফোন কল পাকিস্তানের কোনোএক প্রান্ত থেকে এসেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুই হোটেলেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ফোনে হুমকি দেয়া হয়, ফের ২০০৮ সালের ২৬/১১-র ধাঁচে হামলা চালানো হবে হোটেলে। দুই হোটেলেই নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।

ওই হুমকি ফোনের পরেই নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। মুম্বাই পুলিশকেও খবর পাঠান হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারপরই দুই হোটেলের বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে নজরদারি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সমুদ্রপথে এসে একসঙ্গে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেলস্টেশন, লিওপোল্ড ক্যাফের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই- তৈয়েবার জঙ্গিরা। সেই সময় কোলাবার এ তাজ প্যালেস হোটেলেও হামলা হয়েছিল।

তিন দিন ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় কমান্ডো বাহিনীর ‘যুদ্ধে’ জঙ্গিমুক্ত হয়েছিল মুম্বাই। সোমবার রাতের ফোন কলের পর মুম্বাই পুলিশ এবং তাজ হোটেলের অনেকের মুখেই ফিরে এসেছে সেই ২৬/১১-র স্মৃতি।

সীমান্ত বন্ধ, নেপালে লবণের কেজি ১০০ টাকা : ভারত-নেপাল সীমান্ত বন্ধ হওয়ায় এরই মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। খেটে খাওয়া নেপালিদের জন্য দৈনন্দিন জীবিকানির্বাহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়াকে এর কারণ হিসেবে ধরে নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ।

সম্প্রতি নেপাল সরকার দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই সঙ্গে ভারতীয়দের জন্যও নেপালের দরজা বন্ধ করা হয়। ফলে দু’দেশের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে নেপালে খাদ্যসামগ্রীর দাম এখন আকাশছোঁয়া।

লবণের দাম বাড়তে বাড়তে কেজিতে হয়েছে ১০০ টাকা। আবার এক লিটার সরিষার তেলের দাম ২৫০ টাকা।

সাধারণ অবস্থায় ভারতের মধ্যে প্রায় ৪.২১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩১ হাজার ৭৮২ কোটি ৬৩ লাখ রুপি। সেই সঙ্গে অঘোষিত বাণিজ্যের পরিমাণ ঘোষিত এই বাণিজ্যের ১০ গুণ। একই সঙ্গে ভারতীয় অংশেও নেপালের এ সিদ্ধান্তের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে।

নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য এককথায় লাটে উঠেছে।

বিহারের মধুবনী জেলা সংলগ্ন জয়নগর সীমান্তের এক টেক্সটাইল ব্যবসায়ী জানান, সীমান্ত বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোতে। গত দুই মাসে জয়নগর মার্কেটের ক্ষতি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন