পিএনএস ডেস্ক: পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পেশোয়ারে বিচারাধীন ওই ব্যক্তিকে আদালতে ঢুকে খুন করা হয়।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম তাহির শামিম আহমেদ। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই খালিদ খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও ওই ব্যক্তি কিভাবে কড়া নিরাপত্তা ভেঙে আদালতে প্রবেশ করে গুলি চালাল এখন পর্যন্ত তা পরিষ্কার নয়।
আদালতে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিজেকে একজন নবী বলে ঘোষণা করেছিলেন অভিযুক্ত তাহির শামিম আহমেদ। ২০১৮ সালে তাকে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ফতার করা হয়। মূলত ওই মামলাতেই বিচারাধীন অবস্থাতে তাহির শামিম আহমেদকে আদালতের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গুলিবিদ্ধ তাহিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা করায় বহু মানুষকে খুন হতে হয়েছে।
পাকিস্তানের আইনে ধর্মদ্রোহিতায় দোষী সাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু আদালত সেই সাজা দেওয়ার আগেই অনেক সময় জনতাই মৃত্যুর সাজা দিয়ে দেয়।
আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া বা অভিযুক্তকে প্রাণে মেরে ফেলার নজির আগেও দেখা গেছে।
এর আগে ২০১১ সালে আসিয়া বিবি নামে এক খ্রিস্টান নারীর পক্ষ নেওয়ায় এমন সাজা পেয়েছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর। ধর্মদ্রোহিতায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন ওই নারী। তার পক্ষ নেওয়ায় গভর্নরের বিরুদ্ধেও ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠে। দেহরক্ষীরাই ওই গভর্নরকে খুন করে।
পিএনএস/এএ
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননাকারীকে আদালতেই গুলি করে হত্যা
30-07-2020 02:25PM