মধ্য এশিয়ায় এনার্জি করিডরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তীব্র প্রতিযোগিতা

  08-08-2020 04:25PM


পিএনএস ডেস্ক: চীনের আক্রমণাত্মক নীতিমালা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য এশিয়ায় গণতন্ত্রের জন্য নতুন জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, চীন মধ্য এশিয়াকে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে সম্ভাব্য নতুন বাণিজ্য ও এনার্জি করিডোর যুক্ত করতে শুরু করেছে।

ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা মালিহা লোধি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ‘বিশ্ব শক্তির কেন্দ্র পশ্চিম থেকে সরে পূর্বের দিকে পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়গুলো বেশ চ্যালেঞ্জিং। পরিবর্তনের এই সময়ে বিশ্বজুড়ে মৌলিক পুনরুদ্ধার সংঘটিত হচ্ছে। আমাদের অঞ্চলটিও এর ব্যতিক্রম নয়।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সম্প্রসারণ বাদী নীতিমালা প্রতিরোধে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চতুর্ভুজ জোটের মিশনে রয়েছে।

সম্প্রতি, আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জালমি খলিলজাদ প্রথমবারের মতো মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ফিনান্স কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম বোহেলারের সঙ্গে কাতার, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নরওয়ে এবং বুলগেরিয়া সফর করেছেন।

সাউথ চায়না মনিটরিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও পাঁচটি মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কাতারে অবস্থানরত তালেবান আলোচকদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠকে মিলিত হন খলিলজাদ ও বোহেলার।

সেখানে তারা আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে উজবেকিস্তানকে সংযুক্ত করার জন্য একটি রেল প্রকল্পের তহবিল সাহায্যের প্রস্তাব করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু দেশগুলোকে চীনের অর্থায়নের বিকল্প হিসেবে সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। সেহেতু চীন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের সমস্ত বেল্ট এবং সড়ক অংশীদার সরকারগুলোর সঙ্গে আরও গভীর সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ লক্ষ্যে চীন গত ২৭ জুলাই নেপাল ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে একটি চতুর্পক্ষীয় ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি তাদের মধ্যে একটি ‘গ্রিন করিডোর’ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশগুলোকে করোনা মহামারি মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন।

মধ্য এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে দেশ দু’টি মধ্য এশিয়ায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তারা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে কাছে টানতে নানা রকম ফন্দি আঁটছেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন