‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ নিয়ে হতাশ ফিলিস্তিন, আশাবাদী ইসরায়েল

  15-08-2020 01:04PM

পিএনএস ডেস্ক: ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সদ্য হওয়া ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ নিয়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের কাছে এ চুক্তি যেমন ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ইসরায়েলের কাছে তেমনি ‘ইতিহাস’।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘ঐতিহাসিক শান্তি’ চুক্তিতে পৌঁছেছে।

এরপরই জাতির উদ্দেশে টিভিতে দেয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু চুক্তির প্রশংসা করে বলেছেন, এ চুক্তি দু’দেশকে ‘পূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিক শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের’ দিকে নিয়ে যাবে। তাছাড়া, উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও আমিরাতের পথ অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতানিয়াহু।

আলোচিত এই চুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুরোধে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিত তীরের বিশাল অংশ নিজেদের দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা ‘স্থগিত’ রাখার কথা বলা আছে বলেও জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি, এ এক চমৎকার মুহূর্ত।”

ওদিকে, ঠিক এর বিপরীত চিত্র ফিলিস্তিনে; চুক্তির ঘোষণায় যেন বিস্মিত হয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কর্মকর্তারা। তারা আঞ্চলিক আরব প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের কড়া নিন্দা করেছেন। যেমনটি সচরাচর দেখা যায় না। কেবল তাই নয়, ইউএই তে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবিলম্বে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আব্বাসের কর্মকর্তারা।

অধিকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লায় আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেছেন, “আমিরাত-ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় শান্তিচুক্তি ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এর নিন্দা জানাচ্ছেন ফিলিস্তিনের নেতারা।”

ফিলিস্তিনি টিভিতে পড়ে শোনানো এক বিবৃতিতে আবু রুদেইনা বলেন, ফিলিস্তিনের নেতারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এই চুক্তির পদক্ষেপকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেই মনে করেন।

বিবৃতিতে ‘আরব লিগ’ এবং ‘অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন’কে একযোগে এই চুক্তি ‘প্রত্যাখ্যান’ করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “ইউএই বা চুক্তির অন্য কোনও পক্ষেরই ফিলিস্তিনি জনগণের নামে কিছু বলার অধিকার নেই।”

আমিরাতের সঙ্গে এই শান্তিচুক্তি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য কূটনৈতিক দিক থেকে একটি সাফল্য হলেও এটি ডানপন্থি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদেরকে ক্ষুব্ধ করেছে। যারা পশ্চিমতীরকে ইসরায়েলের দখলদারিত্বে রাখতে চায়।

তবে নেতানিয়াহু পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন, তিনি পশ্চিমতীরে ইহুদিবসতি সম্প্রসারণসহ আরও এলাকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও এ ব্যাপারে প্রথমে ওয়াশিংটন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া জরুরি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন