বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের পেছনে পড়ায় মোদির সমালোচনায় রাহুল

  18-10-2020 08:43AM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের চেয়েও ভারত পিছিয়ে পড়ায় মোদির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। শনিবার রাহুল বলেছেন, পকেট ভর্তি করতে ব্যস্ত আছে বিজেপি সরকার।

২০২০ সালে ২০.৪ স্কোর নিয়ে ১০৭টি দেশের মধ্যে ৭৫তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮ নম্বরে।

শুক্রবার চলতি বছরের যে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক’ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সেখানে ১৩২টি দেশের ডেটা সংগ্রহ করা হলেও তালিকায় রাখা হয়েছে ১০৭টি দেশকে। এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬, যা ক্ষুধা সূচকে ‘ভীতিকর’ অবস্থাকে নির্দেশ করে। ২০১০ সালে স্কোর কিছুটা কমে হয় ৩০ দশমিক ৩। অর্থাৎ ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে। ভারত চলতি বছরে ৯৮ নম্বরে রয়েছে। তাদের স্কোর ২৭.২। পাকিস্তান ৮৮ নম্বরে। এই পরিস্থিতি দেখে রাহুল হিন্দিতে লেখা টুইটে বলেছেন, ‘ভারতের গরিবেরা ক্ষুধার্ত। কারণ সরকার নিজেদের এবং স্বজনদের পকেট ভারী করছে।’

এই সূচকে শূন্য থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে যাচাই করা হয় কোন দেশ কতটা ক্ষুধাপীড়িত। মাপকাঠিতে শূন্য হচ্ছে সবচেয়ে ভালো স্কোর, যার অর্থ সেই দেশটিতে ক্ষুধা নেই। আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। ১০-এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ সেই দেশে ক্ষুধার সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪ দশমিক ৯ স্কোরের অর্থ তীব্র ক্ষুধা, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক ৯ অর্থ ভীতিকর ক্ষুধা আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে ভীতিকর ক্ষুধায় পীড়িত দেশকে।

মাথাপিছু জিডিপির হিসেবে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু ধারাবাহিক উন্নতির মাধ্যমে সেই ব্যবধান দ্রুত কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের একেবারে উপরের দিকে রয়েছে চীন, বেলারুশ, ইউক্রেন, তুরস্ক, কিউবা এবং কুয়েতের মতো দেশগুলো। তাদের অবস্থান এক থেকে পাঁচের মধ্যে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের ওয়েব সাইটটি বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টি নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে। শুক্রবার তারা ২০২০ সালের ক্ষুধা সূচকের ওপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ অপুষ্টিতে ভোগে। পাঁচ বছরের নিচে মারা যায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন