ভারতের ম্যাপ থেকে কাশ্মির-লাদাখ বাদ দিল সৌদি

  31-10-2020 01:29AM

পিএনএস ডেস্ক: অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ভারতীয় মানচিত্র থেকে কাশ্মীর এবং লাদাখকে বাদ দিয়েছে সৌদি আরব। এর ফলে শুরু হয়েছে ভারতের মানচিত্র নিয়ে নতুন বিতর্ক। এর আগে, ভারতের মানচিত্র থেকে কিছু এলাকাকে নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে একই ধরনের বিতর্ক তৈরি করেছিল নেপাল এবং পাকিস্তান।

তবে সৌদি আরব মানচিত্র থেকে কাশ্মির এবং লাদাখ বাদ দেয়ায় ভারতের সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দ্রুত ভুল সংশোধনে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার।

চলতি বছর জি২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ সৌদি আরব। এ উপলক্ষে দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাংক নোট তৈরি করেছে। যেখানে জি২০ সদস্য দেশ হিসেবে ভারতের মানচিত্রও যুক্ত হয়েছে। সেই মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মির এবং লাদাখ বাদ দেয়া হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর ওই নোটটি প্রকাশিত হয়। এটি দেখার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির সৌদি আরব দূতাবাস এবং রিয়াদে আরবের প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত ভুল স্বীকার করে তারা যাতে ভারতের মানচিত্র সংশোধন করে সেজন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। একই বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ কথা সকলকে মনে রাখতে হবে।

কয়েক মাস আগে ভারতের বিতর্কিত লিপুলেখ এবং কালাপানি অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল প্রথম বিতর্কের জন্ম দেয়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সংসদে একটি নতুন মানচিত্র পেশ করেন। সেখানে ভারত-নেপাল সংলগ্ন অঞ্চল নেপালের অংশ বলে দেখানো হয়।

যদিও ভারতের দাবি ওই এলাকাগুলো ভারতের। দীর্ঘদিন ধরেই তা ভারতের মানচিত্রে আছে।বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্কও হয়। এর মাঝেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি বিতর্কিত মানচিত্র পেশ করেন। সেখানে দেখা যায়- কাশ্মীর, লাদাখের কিছু অংশ এবং গুজরাটের কিছু অংশ পাকিস্তানের মানচিত্রে যুক্ত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের ওই মানচিত্র নিয়েও ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানায়। আন্তর্জাতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি মস্কোয় একটি অধিবেশনে পাকিস্তান ওই একই মানচিত্র দেখালে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।

এবার সেই একই বিতর্কে শুরু হলো সৌদি আরবকে নিয়েও। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, নেপাল বা পাকিস্তানের মতো সৌদি আরব ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ নাও করে থাকতে পারে।

গত বছর ভারত সফরে এসেছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান। সে সময় প্রোটোকল ভেঙে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। ডি ডব্লিউ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন