চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ, এবার ভুটানের ভেতরে চীনের গ্রাম!

  20-11-2020 09:19AM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সীমান্তে চরম উত্তেজনার মধ্যেই নেপালে চীনের আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এবার প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভুটান সীমান্তের ভেতর প্রায় ২ কিলোমিটারজুড়ে গ্রাম গড়ে তুলেছে চীন।

খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে চীনের একটি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকের টুইট থেকে। এরপরই হইচই পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহল ও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। টুইটে ওই সাংবাদিক দাবি করেন, ভুটানের অভ্যন্তরে প্রায় ২ কিলোমিটার ভিতরে একটি গ্রাম তৈরি করেছে চীন। সেই দাবির পরই শোরগোল পড়েছে। ফের আন্তর্জাতিক সীমান্তে চীনের অবাঞ্ছিত প্রবেশ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

জানা গেছে, ডোকলাম সীমান্ত থেকে ভেতরে ওই গ্রামটি গড়ে তুলেছে চীন।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে ড্রাগনভূমি ভুটান এখনও নীরব। বজ্র ড্রাগনের দেশ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

এর আগে ২০১৭ সালে চীনের সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে ভারত ও ভুটানের মাঝে বিতর্কিত ডোকলাম এলাকায় ঢুকেছিল। তখন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভুটান সরকার। চীন, ভারত ও ভুটানের ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকা ডোকলামের গা ঘেঁষে এবার চীনা গ্রাম তৈরির বিতর্ক দানা বাধছে।

টুইটে চীনা সাংবাদিক দাবি করেন, ভুটান সীমান্তের ভিতরে তৈরি গ্রামটির নাম প্যাঙ্গদা। এখান থেকে বিতর্কিত ডোকলাম এলাকার দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার।

চীনের সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন’র সাংবাদিক শেন শিওই তার টুইটে ভুটানের অভ্যন্তরে প্যাঙ্গদা নামে গ্রামের ছবিও পোস্ট করেন। পরে সেই টুইট তিনি মুছে দেন।

যাবতীয় বিতর্ক এখানেই। ভুটানের কোনও সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচারিত হয়নি। যে গ্রামটির কথা চীনা সাংবাদিক টুইট করেন তার অবস্থান দেখে জানা যায় সেটি পশ্চিম ভুটানের হা জেলার অন্তর্ভুক্ত। হা উপত্যকার অন্যপাশে বিতর্কিত ডোকলাম অঞ্চল।

সীমান্ত পেরিয়ে কী করে চীনের পক্ষ থেকে একটি গ্রাম তৈরি করা হল ভুটানের জমিতে? উঠছে এই প্রশ্ন। ভুটানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে। সেই সীমান্তে রয়াল ভুটান আর্মি ও ভারতীয় সেনা একসঙ্গে পাহারা দেয়। সীমান্তের ভিতরে চীনা গ্রাম তৈরির খবর ঘিরে ভুটানের জনগণ দ্বিধাবিভক্ত।

ভুটানের সোশ্যাল সাইটে খবরটি ভুয়া বলে বহুজন মম্তব্য করছেন। তাদের যুক্তি, কী করে ভুটান ও ভারতীয় সেনার চোখ এড়িয়ে এমনটা হতে পারে।অনেকে আবার সরাসরি চীনের আগ্রাসন নীতির সমালোচনা করে ২০১৭ সালের ডোকলাম বিতর্ক টেনে আনছেন। তবে ভুটান সরকার এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। সূত্র: এনডিটিভি

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন