খাশোগি হত্যার প্রতিবেদন ফাঁস করবে বাইডেন!

পিএনএস ডেস্ক: আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ জানুয়ারি শপথ নিলেন জো বাইডেন। সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংক্রান্ত নানা জটিলতা ও বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন বাইডেন। আর দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ট্রাম্প প্রশাসনের চাপা রাখা মার্কিন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্যোগ।

আর এই উদ্যোগটি শুরু করেছেন বাইডেন প্রশাসনের সম্ভাব্য গোয়েন্দা প্রধান এভ্রিল হেইনেস। এরই মধ্যে সিনেটের শুনানিতে পূর্ববর্তী প্রশাসনের ধামাচাপা দেয়া খাশোগি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের অনুমতি চেয়েছেন হেইনেস। দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে সৌদি দূতাবাসে খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে সৌদি রাজপরিবারকে রক্ষার ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টাটি সামনে আনতে চায় নতুন প্রশাসন।

এরই মধ্যে গণমাধ্যমে দেয়া হেইনেসের বক্তব্যে জানা গেছে, সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চান।

আর তারই অংশ হিসেবে সিনেটের শুনানিতে আবেদন করেন হেইনেস। শুনানিতে সিনেটর রন ওয়াইডেন এভ্রিল হেইনসকে বলেন, অবিলম্বে বিদায়ী প্রশাসনের অত্যধিক গোপনীয়তা ও আইনহীনতার পৃষ্ঠাটি উল্টে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তার সঙ্গে ছিলেন তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতেই ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন খাশোগি। তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি সরকার।

তাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনও সন্ধান দেয়নি তারা। এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই তাকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত অক্টোবরে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাগদত্তা। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।

পিএনএস/এএ