সম্পর্কের উন্নতি ঘটাচ্ছে সৌদি-তুরস্ক

  26-01-2021 08:45AM

পিএনএস ডেস্ক:ইস্তানবুলে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতিহাসের সবচেয়ে নিম্নতম পর্যায়ে চলে যায় সৌদি আরবের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক। কিন্তু এখন উভয় দেশের সম্পর্ক আন্তরিকতায় ফিরে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সংকটের সমাধান হওয়ার পর তুর্কি-সৌদি সম্পর্কের উন্নতির পথ উন্মুক্ত হয়েছে। এই মাসের শুরুতে গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের বৈঠকে সৌদি আরব এবং তার মিত্ররা কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে দোহার সঙ্গে আকাশ ও সীমান্ত উন্মুক্ত করাও রয়েছে।

এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি ‘এটি খুবই উপকারি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আশা করি উপসাগরীয় সহযোগিতায় আমাদের অবস্থান পুনরায় স্থাপিত হবে। এতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।

তুরস্কের এই অবস্থানকে আরও গতি দিয়েছে আঙ্কারা ও রিয়াদের মধ্যে কাতারের মধ্যস্থতার প্রস্তাব। কাতারের বিশেষ দূত মুতলাক আল-কাহতানি বলেন, দুই দেশ যদি মনে করে মধ্যস্থতায় কাতারের ভূমিকা রয়েছে তাহলে আমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব। এটি সবার জন্য উপকারী।

জিসিসি’র বৈঠক ছাড়াও উভয় দেশের সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নভেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের শুরুতে এরদোয়ান ও সৌদি বাদশাহ ফোনালাপ করেছেন। উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি ও অমীমাংসি ইস্যু সমাধানের কথা বলেন।

সৌদি ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওআইসির সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। এই বৈঠকের পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, তাদের সম্পর্ক শুধু দুই দেশের নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য উপকারী।

কাতার ইউনিভার্সিটির ইবনে খালদুন সেন্টারের গবেষণা সহযোগী অধ্যাপক আলি বাকির বলেন, মূল কারণ হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেছেন এবং সৌদি আরব ভাবছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি চাপ বাড়ান তাহলে তাদের নতুন বিকল্পের খোঁজ করতে হবে। বাইডেনের প্রশাসন যদি রিয়াদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে তাহলে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির তাগিদ তারা অনুভব করবে না।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে সৌদি নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্পের সমর্থনের কারণেই উপসাগরীয় সংকট দেখা দিয়েছিল।

সৌদি আরব ও তুরস্ক ধারণা করছে বাইডেনের প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নীতির বড় পরিবর্তন আনতে পারে। যেমন- ইরান মোকাবিলায় ট্রাম্পের নীতির বদল ঘটতে পারে। সূত্র : আল-জাজিরা

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন