ইসলামে বৈদ্যুতিক ব্যাটে মশা মারা বৈধ না!

  19-12-2016 10:18AM


পিএনএস ডেস্ক: জ্বলন্ত কয়েলের গায়ে স্থির বসে থাকে মশা। কয়েল জ্বলছে তবুও মশা নড়ে না। বাজারের অধিকাংশ কয়েল গন্ধ ছড়ায়; মশা মরে না। কাবু হয় না। বরং মিছিল করে গান গেয়ে এগিয়ে আসে রক্ত খেতে। কয়েলের ধোঁয়ায়ও শুঁকতে ইচ্ছা করে না আমাদের। তাই কয়েল জ্বালানোর কষ্ট, আর মশারি টানানোর আলসেমি থেকে বাঁচতে ভরসা এখন বৈদ্যুতিক চার্জবিশিষ্ট মশা মারার ব্যাট। প্রযুক্তির কল্যাণে মশা মারতে আমরা বৈদ্যুতিক কামান হাতে নিয়েছি। বৈদ্যুতিক কামানে মশা মারতে বেশ মজা, ঘুমেও আরাম। সমস্যা বেঁধেছে যারা ধর্মকর্ম মানেন তাদের জন্য। বলতে পারেন মানবতাবা“িরে জন্যও। কারণ আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ানো কিংবা বৈদ্যুতিক শটে মশা মারা সমান অপরাধ। ইসলাম ও মানবতা কখনই আগুনে পুড়িয়ে প্রাণি হত্যা সমর্থন করতে পারে না। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, আগুন দ্বারা কেবল আল্লাহই শাস্তি দেবেন, আগুনের শাস্তির একমাত্র অধিকারী আল্লাহ তায়ালা। তাকে ছাড়া আর কারো অধিকার নেই আগুন দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়ার। (বুখারি: ২৮৫৩, আবু দাউদ)

হযরত ইকরিমা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন তোমরা আল্লাহর শাস্তি আগুন দিয়ে; কাউকে শাস্তি দিও না। আবু দাউদ : ৪৩৫৩

সুতরাং আমরা যারা বিদ্যুতের ব্যাট ব্যবহার করি বা করেছি অবশ্যই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত। অন্যায় অপরাধ মনে করে এই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও জরুরি। ফেকাহবিদগণও মানুষ, পশুপাখি, জীবজন্তুকে আগুনে পুড়ানোর কাজটিকে মাকরুহে তাহরিমি বা জঘন্য অপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বর্জনীয় নিন্দনীয় ও বেঁচে থাকার জোড় দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানী ঢাকার চৌধুরীপাড়া মাদরসার শিক্ষক, মুফতি ছফিউল্লাহ জানান, আমাদের প্রতিটি কদমে কদমে ইসলামের অনুসরণ করা জরুরি। ইসলামি ল মতে, মশা মারতে বৈদ্যুতিক ব্যাটের ব্যবহার চরম ঘৃণার কাজ। বড় গুনাহ। কোনভাবেই জায়েজ নেই।

ইসলাম জীবের প্রতি দয়া করতে শেখায়। ক্ষতিকর প্রাণিও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা কোরআন-সুন্নাহ সমর্থন করে না। আমাদের উচিত হবে নিজে কাজটি থেকে বিরত থাকা। অপরকেও উৎসাহিত করা। কেননা কাজটি খুব ছোট হলেও, অপরাধটি অনেক বড়! সূত্র: আস

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন