রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় আশু করণীয়

  16-05-2018 03:25PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল থেকে রমজানের রোজা শুরু। রাতে তারাবির নামাজ পড়া হবে। শেষ রাতে সেহরী খাওয়ার পর নিয়ত করে রোজা পোলন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রোজার ফজিলত বর্ণাতীত।

মাসব্যাপী রমজান তিনভাগে বিভক্ত। রহমত, মাগফিরাত, নাজাত। পুরো মাস যিনি নিয়ম মেনে রোজা পালন করবেন, তার অতীতের সব পাপ মহান আল্লাহ মাফ করে দেবেন। ওই রোজাদার হয়ে যাবেন মাছুম বাচ্চার মতো সম্পূর্ণ পাপমুক্ত।

রমজানে কেউ মারা গেলে তার কবর আজাব মাফ হয়ে যায়। এমনকি রমজানে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশক-আম্বরের চেয়ে বেশি প্রিয়। রোজার বিনিময় আল্লাহ নিজেই দেবেন। এর নাকি কোনো সীমা নেই। জেনে-বুঝে এমন নেয়ামত থেকে কে বঞ্চিত থাকবে !

রমজানকে পবিত্র মাস বলা হয়। আর এর পবিত্রতা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। কথায়-কাজে, আচার-আচরণ ও আমল-আখলাকে এই পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে। রমজানের হক আদায়ে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। রোজাদারের কষ্ট হয়- এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোজায় অনেক বিধর্মী রোজাদারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলেও অনেক নামদারী মুসলমানকে দেখা যায় এ ব্যাপারে আন্তরিক নয়। পারে তো প্রকাশ্যে তারা খাবার গ্রহণ করে। এমনকি ধূমপান করে। অনেকে হোটেল ও খাবার দোকান দিনের বেলায় খোলা রাখে! যেখানে অবাধে আহার চলে!

রমজানে যে যে খাদ্যদ্রব্য বেশি চলে, একশ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ী এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে নেয়। অথচ বেশি চলে বিদায় এবং রোজাদারদের কষ্ট লাঘবে এসব পণ্যের দাম কমিয়ে রাখা অধিক যুক্তিযুক্ত। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টোটা হয়। দাম বাড়িয়ে নেয়ার নজির ভূরি ভূরি।

রমজানে মাছ, গোশত, ছোলা, চিনি, মুড়ি, ভোজ্যতেল, ডাল, চাল, শাকসবজি, তরকারি, বিশেষ করে বেগুন, সসা, লেবু, ধনে পাতা, পুঁদিনাপাতা, আদা, পিঁয়াজ- এগুলো মূলত বেশি খাওয়া হয়। আর অসাধু ব্যবসায়ীরা কায়দা করে এগুলোর দাম বাড়িয়ে নেয়।

রমজানে খাবারে বিশেষ করে বাহারি ইফতার ও ফলে ক্ষতিকর দ্রব্য মিশানো হয়। এ ব্যাপারে দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। একইভাবে মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির সঙ্গে যুক্তদের শায়েস্তা করতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এবাদত সবকিছুর মধ্যেই নিহিত। ব্যবসা সুন্নাতে রাসুল। সে ব্যবসা কজন করেন। আমাদের দেশ মুসলিম প্রধান দেশ। যে কারণে এখানে রমজানে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। রোজাদারদের প্রতি দৃষ্টি রেখে ব্যবসায়ী ও প্রশাসনকে সবকিছু সহনীয় রাখতে সদয় হওয়া সময়ের দাবি।

লেখক : বার্তা সম্পাদক- পিএনএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন