সূরা আন-আম এর রুকু ভিত্তিক মূল বক্তব্য

  30-07-2018 09:15PM

পিএনএস (মোহাম্মদ সোলাইমান) : প্রথম রুকু(১-১০): প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি পৃথিবী ও আকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উৎপত্তি ঘটিয়েছেন, তবুও সত্যের দাওয়াত অস্বীকারকারীরা অন্যদেরকে তাদের রবের সমকক্ষ দাড় করাচ্ছে, আল্লাহইতো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে এবং তিনিই এক আল্লাহ আকাশেও আছেন এবং পৃথিবীতেও আছেন, তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য সব অবস্থাই তিনি জানেন, এবং ভালো-মন্দ যা-ই তোমরা উপার্জন করো তাও তিনি ভালভাবেই অবগত আছেন।

দিতীয় রুকু(১১-২০): লোকদেরকে বলো, পৃথিবীর বুকে একটু চলাফেরা করে দেখো যারা সত্যকে মিথ্য বলেছে তাদের পরিনাম কি হয়েছে, অনুগ্রহের পথ অবলম্বন করা আল্লাহ নিজের জন্য অপরিহার্য করে নিয়েছেন, তাই তিনি সীমালংঘন কারীদেরকে তাৎক্ষনিকভাবে পাকড়াও করেন না, এটি এমন একটি সত্য যার মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই, যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা এ বিষয়টিকে এমন সন্দেহাতীতভাবে চেনে যেমন নিজেদের সন্তানদেরকে চেনার ব্যাপারে তারা সন্দেহের শিকার হয় না, কিন্তু যারা নিজেরাই নিজেদেরকে ক্ষতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে তারা একথা মানে না।

তৃতীয় রুকু(২১-৩০): তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করে অথবা আল্লাহর নিদর্শনাকলীকে মিথ্যা বলে? আবশ্যি এধরনের জালেমরা কখনই সফলকাম হতে পারে না, এবং কিয়ামতের দ্বীন তারা বলবে,হায়!যদি এমন কোন উপায় হতো যার ফলে আমরা আবার দুনিয়ায় প্রেরিত হতাম, কিন্তু তাদেরকে যদি আগের জীবনের দিকে ফেরত পাঠানো হয় তাহলে আবার তারা সে সবকিছুই করে যাবে যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল।

চতুর্থ রুকু(৩১-৪১): হে মুহাম্মদ(সঃ) একথা আবশ্যি জানি, এরা যেসব কথা তৈরী করে তা তোমাকে কষ্ট দেয়, কিন্তু এরা তোমাকে মিথ্যা বলে না বরং এ জালেমরা আসলে আল্লাহর আয়াতকেই অস্বীকার করে, জালেমদেরকে বলো, একটু ভেবে চিন্তে বলতো দেখি, যদি তোমাদের ওপর কখনো আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন বড় রকমের বিপদ এসে পড়ে, তখন তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকো?বলো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও,যাদেরকে তোমরা আল্লাহর সাথে শরীক করতে, তাদের কথা এ সময় একদম ভুলে গিয়ে থকো।

পঞ্চম রুকু(৪২-৫০): আল্লাহ যেসব রাসূল (সঃ) পাঠান তাতো কেবল এ জন্যই পাঠান যে, তারা সৎকর্মশীলদের জন্য সুসংবাদ দানকারী এবং দুস্কৃতিকারিদের জন্য ভীতি প্রদর্শনকারী, তারপর যারা রাসূল (সঃ)দের কথা মেনে নেবে এবং নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করবে তাদের জন্য কোন ভয় ও দুঃখের কারন নেই, আর যারা আল্লাহর আয়াতকে মিথ্যা বলবে তাদেরকে নিজেদের নাফরমানীর শাস্তি ভোক করতেই হবে, যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আযাব এসে যায় তাহলে জালেমরা ছাড়া আর কেউ ধ্বংস হবে কি?।

ষষ্ট রুকু(৫১-৫৫): আর হে মুহাম্মদ (সঃ)! তুমি অহীর জ্ঞানের সাহায্যে তাদেরকে নসিহত করো যারা ভয় করে যে, তাদের রবের সামনে কখন তাদেরকে এমন অবস্তায় পেশ করা হবে যে, সেখানে তাদের সাহায্য-সমর্থন বা সুপারিশ করার জন্য আল্লাহ ছাড়া আর কেউ থাকবে না, হয়তো বা তারা আল্লাহর ভীতির পথ অবলম্বন করবে, আর যারা তাদের রবকে দিন-রাত ডাকতে থাকে তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রচেষ্টারত থাকে তাদেরকে তোমার কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিও না, যদি তুমি তাদেরকে দূরে ঠেলে দাও তাহলে তুমি জালেমদের অন্তর ভুক্ত হয়ে যাবে।

সপ্তম রুকু(৫৬-৬০): হে মুহাম্মদ (সঃ)! মুশরিকদের বলো, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য যাদেরকে ডাকো তাদের বন্দেগী করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে, বলো আমি তোমাদের ইচ্ছা-বাসনার অনুসরন করবো না, এমনটি করলে আমি বিপদগামী হবো এবং সরল-সত্য পথ লাভকারীদের অন্তরভুক্ত থাকবো না, কারন তারই কাছে আছে অদৃশ্যের চাবি, মৃত্তিকার অন্ধকার প্রদেশে এমন একটি শস্যকণাও নেই, যে সম্পর্কে তিনি অবগত নন, সব কিছুই একটি কিতাবে লিখিত আছে, সবশেষে তারই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।

অস্টম রুকু(৬১-৭০): হে মুহাম্মদ (সঃ)! যখন তুমি দেখো লোকেরা আমার আয়াতের মধ্যে দোষ খুজে বেড়াচ্ছে তখন তাদের কাজ থেকে সড়ে যাও, এবং এদেরকে জিজ্ঞেস করো, জলে ও স্থলের গভীর অন্ধকারে কে তোমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করে? কার কাছে তোমরা কাতর কন্ঠে ও চুপে চুপে প্রার্থনা করো? কার কাছে বলে থাকো এ বিপদ থেকে আমাদের উদ্ধার করলে আমরা আবশ্যি তোমার শোকর গুজারী করবো, তুমি বলো আল্লাহ তোমাদের এ থেকে এবং প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দেন, এরপরও তোমরা অন্যদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করে থাকো।

নবম রুকু(৭১-৮২): হে মুহাম্মদ (সঃ)! লোকদেরকে জিজ্ঞেস করো, আমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদেরকে ডাকবো যারা আমাদের উপকারও করতে পারেনা, অপকারও করতে পারেনা, আমরা কি নিজেদের অবস্থা সে ব্যক্তির মতো করবো, যাকে শয়তান মরুভুমির বুকে পথ ভুলিয়ে দিয়েছে, এবং সে হয়রান পেরেশান ও উদ্ভ্রান্তের মত ঘুড়ে বেড়াচ্ছে, অথচ তার সাথীরা তাকে চীৎকার করে ডেকে বলছে এদিকে এসো এখানে রয়েছে সোজা পথ, আসলে আল্লহর হেদায়াতই একমাত্র সঠিক ও নির্ভুল হেদায়াত, অতঃএব আল্লাহর সামনে শিরনত করে দাও, নামাজ কায়েম করো, এবং তার নাফরমানি করা থেকে দূরে থাকো।

দশম রুকু(৮৩-৯০): ইবরাহীমকে তার জাতির মোকাবেলায় আল্লাহ এ যুক্তি-প্রমান প্রদান করেছিলেন, আল্লাহ যাকে চান উন্নত মর্যাদা দান করেন, প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে তোমার রব প্রজ্ঞাময় ও জ্ঞানী, নিজের বান্দাদের মধ্য থেকে তিনি যাকে চান তাকে হেদায়াত দান করেন, আল্লাহ তাদেরকে কিতাব ও নবুওয়াত দান করেছেন। এখন যদি লোকেরা তা মানতে অস্বীকার করে তাহলে আল্লাহ অন্য এমন কিছু লোকের হাতে এ নিয়ামত সোপর্দ করে দিবেন, যারা এগুলো অস্বীকার করে না।

এগারোতম রুকু(৯১-৯৪): কাফেররা আল্লাহ সম্পর্কে ভুল অনুমান করলো যখন তারা বললো, আল্লাহ কোন মানুষের ওপর কিছুই নাযিল করেননি, তাদেরকে জিজ্ঞেস করো তাহলে মুসা (আঃ)যে কিতাব এনেছিল, যা ছিল সমস্ত মানুষের জন্য আলো ও পথ নির্দেশনা, যাকে তোমরা খন্ড বিখন্ড করে রাখছো, কিছু দেখাও আর কিছু লুকিয়ে রাখো এবং যার মাধ্যমে তোমাদের এমন জ্ঞান দান করা হয়েছে, যা তোমাদেরও ছিলো না, তোমাদের বাপ-দাদাদেরও ছিলো না, কে তা নাযিল করেছিলো কেবল এতটুকুই বলে দাও।

বারোতম রুকু(৯৫-১০০): আল্লাহই শস্যবীজ ও আটি বিদীর্ণকারী, তিনিই জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং তিনিই বের করেন মৃতকে জীবিত থেকে, এসমস্ত কাজতো আল্লাহই করেন, তাহলে তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে কোন দিকে ছুটে চলছো? রাতের আবরণ দীর্ণ করে তিনিই ফোটান উষার আলো, তিনিই রাতকে করেছেন প্রশান্তিকাল, চন্দ্র ও সূর্যের উদায়াস্তের হিসেবে তিনিই নির্দিষ্ট করেছেন, আর তিনিই তারকা গুলোকে বানিয়েছেন তোমাদের জন্য পৃথিবী ও সমুদ্রের গভীর অন্ধকারে পথের দিশা জানার মাধ্যম, আর এ নিদর্শন গুলো সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন তাদের জন্য যারা জ্ঞান বুদ্ধি রাখে।

তেরতম রুকু(১০১-১১০): হে মুহাম্মদ (সঃ)! সে অহীর অনুসরণ করো, যা তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, কারন সে একক রব ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই একং মুশরিকদের পেছনে লেগে থেকো না, তোমাকে এদের ওপর পাহারাদার নিযুক্ত করিনি এবং তুমি এদের অভিবাবকও নও, আর হে ঈমানদারগণ! এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না. কেননা এরা শিরক থেকে আরো খানিকটা অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত যেন আল্লাহকে গালি দিয়েনা বসে, আর তাদের আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে।

চোদ্দতম রুকু(১১১-১২১): যদি আল্লাহ মুশরিকদের কাছে ফেরেশতাও নাযি করতো, মৃতেরাও তাদের সাথে কথা বলতো, এবং সারা দুনিয়ার সমস্ত জিনিস তাদের চোখের সামনে এক সাথে তুলে ধরতো, তাহলেও তারা ঈমান আনতো না, তবে তারা ঈমান আনুক এটা যদি আল্লাহর ইচ্ছা হয়, তাহলে অবশ্যি অন্য কথা কিন্তু বেশির ভাগ লোক অজ্ঞের মতো কথা বলে থাকে, আর এভাবে আল্লাহ সব সময় মনুষ্য জাতীয় শয়তান ও জিন জাতীয় শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর দুশমনে পরিনত করেছেন, কাজেই তাদেরকে তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দাও তারা মিথ্যা রচনা করতে থাকুক।

পনেরতম রুকু(১২২-১২৯): কাফেরদের সামনে কোন আয়াত আসলে তারা বলে, “আল্লাহর রসূলদের (সঃ) যে জিনিস দেয়া হয়েছে, যতক্ষন না তা আমাদের দেয়া হয় ততক্ষন আমরা মানবো না” আল্লাহ নিজের রিসালাতের কাজ কাকে দিয়ে কিভাবে করাবেন তা তিনি নিজেই ভাল জানেন, এ অপরাধীরা নিজেদের প্রতারনা ও কূটকৌশলের অপরাধে আল্লাহর কাছে অচিরেই লাঞ্ছনা ও কঠিন আযাবের সম্মুখিন হবে, প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ যাকে সত্যপথ দেখাবার সংকল্প করেন তার বক্ষদেশ ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন,আর যাকে তিনি গোমরাহীতে নিক্ষেপ করার সংকল্প করেন তার বক্ষদেশ সংকীর্ণ করে দেন, এভাবে আল্লাহ আবিলতা ও অপবিত্রতা বেঈমানদের ওপর চাপিয়ে দেন।

ষোলতম রুকু(১৩০-১৪০): প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা তার কার্য অনুযায়ী হয়, আর তোমার রব মানুষের কাজের ব্যাপারে বেখবর নন, তোমার রব কারোর মুখাপেক্ষী নন এবং দয়া ও করুনা তার রীতি, নিসন্দেহে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যারা নিজেদের সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতাবশত হত্যা করেছে, এবং আল্লাহর দেয়া জীবিকাকে মিথ্যা ধারণা বশত হারাম গন্য করেছে, নিসন্দেহে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এবং তারা কখনই সত্য পথ লাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

সতেরোতম রুকু(১৪১-১৪৪): তিনি আল্লাহই বিভিন্ন প্রকার লতাগুল্ম ও বাগান সৃষ্টি করেছেন, খেজুর বীথি সৃষ্টি করেছেন, শস্য উৎপাদন করেছেন, তা থেকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সংগৃহিত হয়, যাইতুন ও ডালিম বৃক্ষ সৃষ্টি করেছেন, এসব ফলের মধ্যে বাহিক্য সাদৃশ্য থাকলেও স্বাদ ভিন্ন, এগুলোর ফল খাও যখন ফলবান হয়, এবং এগুলোর ফসল কাটার সময় আল্লাহর হক আদায় করো, আর সীমা অতিক্রম করো না, কারন সীমা অতিক্রম কারীদেরকে আল্লাহ পসন্দ করেন না।

আঠারোতম রুকু(১৪৫-১৫০): নিশ্চয়ই মুশরিকরা বলবে, “যদি আল্লাহ চাইতেন তাহলে আমরা শিরক করতাম না, আমাদের বাপ-দাদারাও শিরক করতো না, আর আমরা কোন জিনিশকে হারাম গন্য করতাম না,” এধরনের উদ্ভট কথা তৈরী করে করে এদের পূর্ববর্তী লোকেরাও সত্যকে পত্যাখ্যান করেছে, এবং যারা আল্লাহর আয়াতকে মিথ্য বলেছে অবশেষে তারা আল্লাহর আযাবের স্বাদ গ্রহন করেছে। যারা আখেরাত অস্বীকারকারী এবং অন্যদেরকে নিজেদের রবের সমকক্ষ দাড় করায় কক্ষনো তাদের খেয়াল খুশি অনুযায়ী চলো না।

উনিশতম রুকু(১৫১-১৫৪): হে মুহাম্মদ (সঃ)! মুশরিকদেরকে বলো, এসো আমি ‘তোমাদের শুনাই তোমাদের রব তোমাদের ওপর কি বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন, তার সাথে কাউকে শরীক করো না, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো, দারিদ্রের ভয়ে নিজের সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে জীবিকা দিচ্ছি এবং তাদেরকেও দেবো, প্রকাশ্যে বা গোপনে অশ্লীল বিষয়ের ধারে কাছেও যাবে না, তিনি তোমাদের এ বিষয় গুলোর নির্দেশ দিয়েছেন, সম্ভবত তোমরা ভেবে চিন্তে কাজ করবে।

বিশতম রুকু(১৫৫-১৬৫): হে মুহাম্মদ (সঃ)! বলো, আমার রব নিশ্চিতভাবেই আমাকে সোজা পথ দেখিয়েছেন, একদম সঠিক নির্ভুল দ্বীন, যার মধ্যে কোন বক্ততা নেই, ইবরাহিমের পদ্ধতি, যাকে সে একাগ্রচিত্তে একমুখী হয়ে গ্রহন করেছিল,এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না, বলো আমার নামাজ আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রব্বুল আলামিনের জন্য, যার কোন শরীক নেই, এরি নির্দেশ আমাকে দেয়া হয়েছে এবং সবার আগে আমিই আনুগত্যের শির নতকারী।

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন