ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন ওসি

  28-11-2016 07:51AM



পিএনএস : ক্ষমা চেয়ে কারাদণ্ড থেকে রক্ষা পেলেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান। রোববার দুপুরে একটি মামলার পলাতক আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ উপেক্ষা করায় বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের ওই ওসিকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এর পরপরই খবর শুনে আদালতে ছুটে আসেন ওসি আজিজুর রহমান। বিকেলে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোসহ আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। আদালতের বিচারক তার আবেদন গ্রহণ করে তার দণ্ড মওকুফ করেন।

আদালতের পেশকার (বেঞ্চ সহকারী) আজিবর রহমান জানান, গত ৩১ জানুয়ারি বাকেরগঞ্জ ভোজমহল গ্রামের হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা কারী মো. ইব্রাহিম মানব পাচারের অভিযোগ এনে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলায় বাকেরগঞ্জ গোমা মঙ্গলির বাসিন্দা অহিদুল ইসলাম সিকদার, তার স্ত্রী মনিরা বেগম, পিতা আব্দুল কাদের সিকদার ও ডিঙ্গামানিক গ্রামের অলিউল্লাহ’র স্ত্রীকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলাটি বাকেরগঞ্জ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২২ জুন আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

গত ২৯ জুন প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদলত। নির্দেশের প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এ মামলার অন্যতম আসামি অহিদুলকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে পলাতক আসামি অহিদুলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

আদেশ প্রাপ্তির পরও ওসি আজিজুর রহমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি আদালতের কাছে কোনো প্রতিবেদন জমা না দিলে পুনরায় তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরও প্রতিবেদন জমা না দিলে এবং আদালতে হাজির না হওয়ায় রোববার মামলার ধার্য তারিখে ওসি আজিজুর রহমানকে সাতদিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দণ্ড দেয়ার খবর শুনে ওসি আজিজুর রহমান আদালতে হাজির হন। এ সময় পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান ও সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের কাছে আজিজুর রহমানের জন্য সুপারিশ করেন। একই সঙ্গে আজিজুর রহমান তার কর্তব্যে অবহেলা এবং আদালতের আদেশ না মানার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচারক তার দণ্ড মওকুফ করেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন