পিএনএস ডেস্ক : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার একমাত্র আসামি গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাউর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ জুলাই আসামি গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজ ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের বাড়ির নিজস্ব মন্দিরে পূজা করছিলেন। এসময় পূজায় বিঘ্ন ঘটায় গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজ তার ছেলের বউ অর্চনা কবিরাজকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। আর এ হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলার কারণে তার ভাইয়ের বউ রানী বালাকেও একই বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত রানী বালার স্বামী (আসামির ভাই) লাল মোহন কবিরাজ ভেদরগঞ্জ থানায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদী এবং আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আতাউর রহমান গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিকে দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে গোবিন্দ চন্দ্রকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা।নিহত অর্চনার স্বামী লাল মোহন কবিরাজ বলেন, আমরা তার এ রায়ে খুশি হয়েছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এড্যাভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাসেম বলেন, জোড়া খুনের মামলাটি ছিল- শরীয়তপুরের জন্য একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। আমাদের আসামি নির্দোষ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করেছি। কিন্তু আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশে আমরা খুশি নই। আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তা করছি।
পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মির্জা হযরত আলী বলেন, রামভদ্রপুর গ্রামের জোড়া খুনের মামলাটি ছিলো একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। আসামী গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজ যে দোষী তা আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত আসামি গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
পূজায় বিঘ্ন ঘটায় খুন করায় পূজারীর মৃত্যুদণ্ড
30-11-2016 06:44AM