এরশাদের রাডার মামলা, হাইকোর্টের আদেশ বাতিল

  08-01-2017 02:21PM


পিএনএস: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন। আজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে রাডার ক্রয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক গতিতেই চলবে।

গত ২৪ নভেম্বর এরশাদের রাডার ক্রয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন এই মামলার আসামি বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান সুলতান মাহমুদ।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর রাডার দুর্নীতি ক্রয় সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালত। পরে মামলাটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনে। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ আনা হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন