পিএনএস, চট্টগ্রাম: জালিয়াতির মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের পৌনে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার রায়ে ছয় ব্যবসায়ীসহ ৯ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২৮ বছর আগে করা মামলায় চট্টগ্রামের আদালত তাদের প্রত্যেককে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা করে অর্থদণ্ড অন্যথায় প্রত্যেককে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিন ওই রায়ে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আদালতের পিপি অ্যাড. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে ৪০৯ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাজা দিয়েছেন আদালত’।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, অগ্রণী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক আনসারুল হক, প্রাক্তন ক্যাশ ইনচার্জ আব্দুস শুক্কুর ও ক্যাশিয়ার মঈনউদ্দিন চৌধুরী এবং খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী স্বপন কুমার ঘোষ, নূর ট্রেডার্সের মালিক আব্দুন নূর, মেসার্স আলম ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানির মালিক জামাল উদ্দিন, মেসার্স পারভিন অটোমোবাইলসের মালিক কোরবান আলী, আজিজ এন্ড ব্রাদার্সের মালিক আজিজুর রহমান এবং রহমান এন্ড কোম্পানির মালিক শহীদুল আমান।
এই মামলায় খালাস প্রপ্ত দুজন হলেন, অগ্রণী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের প্রাক্তন ইনচার্জ ইছহাক চৌধুরী এবং খাতুনগঞ্জের হোসেন এন্ড ব্রাদার্সের মোহাম্মদ হোসেন।
দণ্ডিত ও খালাস পাওয়া ১১ আসামির মধ্যে শুধুমাত্র ইছহাক চৌধুরী আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি ১০ আসামির সবাই পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে নূর ট্রেডার্সের নামে সিআই শিট আমদানির ভূয়া ঋণপত্র খুলে ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আবু মো.আরিফ সিদ্দিকী বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৮ টাকা ব্যাংকের ক্ষতিসাধনের একটি মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত; ৯ আসামির কারাদণ্ড
18-01-2017 08:06AM