লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

  18-01-2017 05:12PM

পিএনএস, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : কর্মীর উপর হামলা ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালত লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহামুদুন নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস সহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করে।

লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্যা চৌধুরী বুধবার দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা ও দলীয় কোন্দলের জের ধরে বিগত ০৫/০৯/২০১০ ইং রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের আলিয়া মাদ্রাসার সামনে নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হয় সাবেক সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম। ওই সময় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলমের উপর হামলা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালে গিয়ে আসামীরা ফের হামলা চালায়।
পরে অবস্থা অবনতি হওয়ায় আশরাফ কে ঢাকা মেডিকের কলেজে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় পরের দিন আশরাফের পিতা এ্যাড: বদরুল আলম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৮, তারিখ-৬/০৯/২০১০। পরে আদালত ১০ স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষ করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই মোস্তফা আনোয়ার ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আজ বুধবার আদালত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধ প্রমানীত হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহামুদুন নবী সোহেল, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রা তাফাজ্জল হোসেন মানিক, মো: রুপম ও রফি কে ১ মাস, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এতেহশাম হায়দার বাপ্পি, পালসার বাপ্পি কে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে কারাদন্ড ও মো: সজিব, মো: জুয়েল, মিরাজ কে ১ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।

পরে একই আদালত আপিল করবে শর্তে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুন নবী সোহেল, মানিক, রুপম, রকির জামিন মঞ্জুর করে। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণীত না হওয়ায় ইমন ও মাসুদ কে খালাস প্রদান করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আদালত এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। সকাল থেকেই ছাত্রলীগ কর্মীরা আদালত এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে। পরে ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা আদালত এলাকায় একটি মিছিল বের করে।

এ মামলায় পুলিশ জেলা যুবলীগের আহবায়ক একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন শিবলু কে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জর্জ কোর্টের পিপি এ্যাড; জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হামলা ও মারধরের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করে। একই আদালত সভাপতিসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড: হুমায়ুন কবির/ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা রায় নিয়ে হতাশ। ন্যায় বিচার পাইনি, ন্যায় বিচারের জন্য সবোর্”চ আদালতে যাবো আমরা।
অপর দিকে মামলার বাদী এ্যাড: বদরুল আলমের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন