কুমিল্লার হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন

  27-02-2017 09:04PM

পিএনএস, কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার লাকসামে মোবাইল দোকানদার জাকির হোসেন (২৫) কে হত্যার দায়ে সংখ্যালঘু একই পরিবারের ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী। যার দায়রা মামলা নং-৭৭২/১৩ইং।

কুমিল্লা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্য সেবা কেন্দ্র সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়- টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ২০১০ সনের ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত অনুমান ৮টার সময় বাদী ও তাঁর ছোট ভাই মৃত জাকির হোসেন বাজার হতে বাড়ী যাওয়ার পথে পথ্যিমধ্যে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে যোগসাজশে দা, লাঠি, রামদা ও ডেগারে সজ্জিত হয়ে জাকির হোসেনকে উপযুক্ত পরিছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

এলাকাবাসী জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে লাকসাম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথ্যিমধ্যে রক্তক্ষরণ হয়ে জাকির হোসেন এর মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে পরদিন (০৭/১১/২০১০) কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামের মোঃ কোরবান আলীর ছেলে মৃত জাকির হোসেন এর বড় ভাই এরশাদ মিয়া খোকন (৩২) বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবুল সাহা (৫৫), বাবুল সাহা’র স্ত্রী গীতা রাণী সাহা এবং ৩ ছেলে মিঠুন সাহা (২৩), টুটুল সাহা (২৬) ও শিমুল সাহা (১৯) এবং একই গ্রাম মরণ সাহা, মৃত সুধীর সাহার ছেলে অনুপম সাহা @ আবু সাহা (৪৬), হারাধন সাহার ছেলে জয়দেব সাহাকে আসামী করে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (যার নং-৩)।

অতঃপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আবুল বাশার মামলার তদন্তপূর্বক ৮জন আসামীর মধ্যে ৩জনকে মামলা হতে নটসেন্টাফ দেন এবং অপর ৫জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালের ৮ মার্চ দ-বিধির ৩০২/৩৪ধারার বিধান মতে চার্জশীট দাখিল করেন। যার অভিযোগপত্র নং- ২৮। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে রাষ্ট্রপক্ষে মানীত ১১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে শুনানী অন্তে ৫ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংখ্যালঘু একই পরিবারের ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। এ রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার ৬ বছর ২ মাস ২১দিন পর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আবু তাহের ও অ্যাড. আবু সায়েম এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- অ্যাড. মাসুদ সালাউদ্দিন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন