মুঠোফোনে মায়ের সঙ্গে মুফতি হান্নানের শেষ কথায় যা ছিল

  13-04-2017 03:13AM

পিএনএস ডেস্ক: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও তার শেষ ইচ্ছা ছিলো মায়ের সঙ্গে দেখা করা। মুঠোফোনে তার মাকে বলেছেন, যে কদিন হায়াত আছে ওই কদিনই বেঁচে থাকব। দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে নাজাত দান করেন, হেফাজত করেন এবং ঈমানের সঙ্গে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি।

তিনি তার মাকে আরো বলেছেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এই অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছে। সুতরাং আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে আমি তা মেনে নিয়েছি। আমার ভাগ্যে যা আছে তা হবে। আমার জন্য কোনো চিন্তা করবেন না।

বুধবার সন্ধ্যায় মুফতি আব্দুল হান্নানের সঙ্গে তার বড় ভাই দেখা করতে গেলে তার মাকে মুঠোফোন এসব কথা বলেন তিনি। মুফতি হান্নানের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় তার বড় ভাই আলি উজ্জামান কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

আলি উজ্জামান বলেন, মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হলে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করতে চান। কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া তিনি তার সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে বড় ভাইকে অনুরোধ করেছেন এবং সবার সঙ্গে তাদের মিলেমিশে থাকতে বলেছেন।

এর আগে সকালে সাক্ষাৎকালে মুফতি হান্নান তার স্ত্রীকে বলেন, যে মামলায় তাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে এটা মিথ্যা মামলা। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় তিনি তার পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন।

স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে কারা ফটকে তার স্ত্রী জাকিয়া পারভীন সাংবাদিদের এসব কথা বলেছেন।

মুফতি হান্নানের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী ভালো আছে, সুস্থ আছে। আল্লাহ তাকে ভালো রেখেছে। সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে। আমার স্বামী জঙ্গি সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পরিবারের চার সদস্য তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার হিরন এলাকা থেকে কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেন। সকালে তারা কারাগারে এসে পৌঁছান। সাক্ষাৎ শেষে তারা গ্রামের বাড়ি কোটালীপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন