রিমান্ডে বেরিয়ে আসছে অনেক বান্ধবী ও নায়িকার সঙ্গে সাফাতের যৌন সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর তথ্য

  15-05-2017 12:50PM


পিএনএস ডেস্ক: বহুল আলোচিত বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার সাফাত আহমেদ রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী ‘ওই রাতে দুই ছাত্রীর সঙ্গে জোর করে কোনো কিছুই করা হয়নি। সব কিছুই তাদের সম্মতিতেই করেছি।’

সাফাত আহমেদ আরো বলেছেন, শুধু ওই দুই ছাত্রীর সঙ্গেই নয়, তার ছিল একডজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী এবং চার জন নায়িকা। এদের সবার সঙ্গেই মেলামেশা করতেন তিনি। এর মধ্যে ৪ নায়িকার সঙ্গে নিয়মিতই মেলামেশা হতো তার। রিমান্ডে তিনি সবার নামই প্রকাশ করেছেন।যত সম্পর্ক তিনি মেয়েদের সঙ্গে করেছেন একটিও জোর করে নয়, সবই অর্থের বিনিময়ে।

এত অর্থ কোথা থেকে আসে এমন প্রশ্নের জবাবে রিমান্ডে সাফাত জানান, প্রতিদিন তার হাতখরচ ২ লাখ টাকা। এ টাকার জোগান দেন তার বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিকদের একজন দিলদার আহমেদ।

রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তাদের ধর্ষক সাফাত এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানালেন, গোয়েন্দা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রিমান্ডে সাফাত তার যৌনচারিতার এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন যা শোনে গা শিউরে। ক্রমেই বেরিয়ে আসছে তার অন্ধকার জগতের নানা কাহিনী।

রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে সম্ভ্রমহানীর ঘটনায় গ্রেপ্তার সাফাত আহমেদ রিমান্ডের প্রথম দিনেই গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় এক ডজন বান্ধবীর নাম ফাঁস করেছেন। এসব বান্ধবীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের খোলামেলা বর্ণনা দিয়েছেন ।

প্রায় প্রতি রাতেই তারা এ ধরনের পার্টি করতেন। পাঁচ তারকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এসব পার্টিতে বন্ধু-বান্ধবীরা হাজির থাকতেন। এসব পার্টিতে বান্ধবীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করতেন। সবকিছুই সমঝোতার ভিত্তিতে হতো। দুই ছাত্রীর সঙ্গেও সমঝোতায় সব হয়েছে।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করেছেন সাফাত। তার দাবি, ওই রাতেও জোর করে কিছু হয়নি। এর সপক্ষে সাফাত কিছু প্রমাণও দিয়েছেন গোয়েন্দাদের। এর মধ্যে সাফাত আহমেদ অভিযোগকারী দুই তরুণীর মধ্যে একজনের সঙ্গে ঘটনার রাতে তোলা ঘনিষ্ঠ কিছু ছবিও (সেলফি) দেখান গোয়েন্দাদের।

সূত্রে জানা গেছে, সাফাত আহমেদের দেয়া তথ্য তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। তবে ওই দুই তরুণীর সঙ্গে তাদের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি আপসে হয়েছে, সাফাতের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, ওই দুই ছাত্রীর একজন ওই ঘটনায় ৬ মে শনিবার রাজধানীর বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সম্ভ্রমহানীর অভিযোগ আনা হয়েছে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে। অন্যরা এইকাজে সহযোগিতা করেছেন। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ঘটনার ভিডিও করেছেন। সাফাত-নাঈম এখন পাঁচদিনের রিমান্ডে।

মামলার বাদীর অভিযোগ, সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পান ২৮ মার্চ। এক বান্ধবীসহ তিনি বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে যান। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় তাদের। এরপর রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের সম্ভ্রমহানী করেন।

মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ, দুই ছাত্রীর বন্ধু সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন