সিংড়ায় ব্যবসায়ী হত্যায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

  21-05-2017 06:16PM

পিএনএস ডেস্ক : ব্যবসায়ীকে হত্যার অপরাধে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম এ দণ্ডাদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা সোয়া একটায় সিংড়ার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন হত্যা মামলার রায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষণা করা হয়। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থ অনাদায়ে আসামিদের আরও এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আঙ্গুর মোল্লা (৩৪), মো. মিঠু (৪৪), কালিগঞ্জ গ্রামের ফারুক হোসেন (৩২), করচমাড়ি গ্রামের মো. সোহাগ (৩৯) ও বগুড়ার সদর উপজেলার চকসূত্রাপুর গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে মো. নয়ন (৩২)। তাঁদের মধ্যে সোহাগ ও নয়ন পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর আসামি মো. নাসির ও মিলন হোসেনকে আদালত খালাস দিয়েছেন।

মামলার এজাহারের বর্ণনা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার দামকুড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে ও গরু ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন (৩২) বাড়ি থেকে বের হন। সাত দিন পর ১৪ এপ্রিল বিকেলে কালিগঞ্জ বাজারের পাশের আয়েত আলীর বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক (এসআই) মন্তেজার রহমান ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, তদন্তের সময় আসামি আঙ্গুর মোল্লা ও মো. ফারুক দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সেখানে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামিরা কালিগঞ্জ মাঠের একটি সেচঘরে লোকমান হোসেনকে ফাঁস লাগিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। গুম করার জন্য আসামিরা লাশটি পরে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন বলে জানানো হয়।

আদালতে মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। রায়ে নাটোরের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আলী আজগর বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন