কৃষক লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন

  29-05-2017 05:26PM

পিএনএস ডেস্ক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় কৃষক লীগ নেতা শামছুল আলম মৃধাকে (৭০) হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসির আদেশ ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক সুদীপ্ত দাস আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাশ প্যাদা পশ্চিম রাজগুরু এলাকার আব্দুল কালাম প্যাদার ছেলে। যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত মরিয়ম বেগম দক্ষিণ ভুতুরদিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম চৌধুরীর স্ত্রী এবং জয়নাল আবেদীন পূর্ব রাজগুরু এলাকার মৃত গণি ভূইয়ার ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে দণ্ড দেয়া হয়েছে।

নিহত শামসুল আলম মৃধা বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি এবং মাদকবিরোধী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. গিয়াস উদ্দিন কাবুল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, বাবুগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মরিয়ম মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। পলাশ ও জয়নাল মরিয়মের কাছ থেকে মাদক নিতো। ওই মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করেন কৃষক লীগ নেতা শামসুল আলম। এরপর র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মরিয়মকে ১২ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। এছাড়া মরিয়মের জাল টাকারও ব্যবসা ছিল। যা শামছুল আলম জেনে ফেলে। মরিয়মের ধারণা শামসু বিষয়টি র‌্যাবকে জানিয়েছে।

জামিনে বের হয়ে ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ শামসুল আলমের বাড়ি গিয়ে মরিয়ম, পলাশ ও জয়নাল তাকে ডেকে সুগন্ধা নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অপেক্ষা করছিল। নদীর পাড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তাপস ইট দিয়ে শামসুল আলমের মাথায় আঘাত করে। এ সময় শামসুল মাটিতে পড়ে গেলে মরিয়ম গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। জয়নাল আবেদীন পা চেপে ধরে।

মৃত্যু নিশ্চিত করতে পলাশ ইট দিয়ে শামসুল আলমের মাথায় আঘাত করে মগজ বের করে ফেলে। এরপর মরদেহ ফেলে তারা ওই স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মতিয়ার রহমান ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দেন। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন