স্ত্রী ও মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

  05-06-2017 12:33AM


পিএনএস, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্ত্রী ও এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার দায়ে আবুল কালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (৪ জুন) দুপুরে হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৬ বছর পর বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালত-দুই এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন।আসামি পলাতক থাকায় বিচারক তার অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

আবুল কালাম মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ছেলে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শরৎচন্দ্র মজুমদার বলেন, গুলিশাখালী গ্রামের মো. আবুল বাশারত হাওলাদারের ছেলে মশিউর রহমান ওই গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত। ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর রাতে আবুল কালাম তার স্ত্রী সুলতানা ইয়াসমিনকে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময়ে ঘরে থাকা মশিউর তা দেখে ঠেকাতে গেলে গৃহকর্তা আবুল কালাম দা দিয়ে তার মাথায় ও ঘাড়ে কোপ দেয়।

এতে আবুল কালামের স্ত্রী সুলতানা ইয়াসমিন (২৫) এবং ওই বাড়িতে থেকে স্থানীয় গুলিশাখালী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়া মশিউর রহমান (১২) ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ঘটনার রাতেই আবুল কালাম তার শিশু কন্যাকে (৩) নিয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তার বাবা ও ভাইয়েরা মিলে তার স্ত্রী এবং ওই মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আবুল কালামের শিশু সন্তান পুলিশকে বলে তার বাবা তার মাকে হত্যা করেছে। ওই শিশুর ভাষ্য অনুয়ায়ী পরদিন সকালে হত্যায় ব্যবহার করা ধারালো দাটি উদ্ধার হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর আবুল কালামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন