আদুরী নির্যাতন মামলায় গৃহকর্ত্রী নওরীনের যাবজ্জীবন

পিএনএস ডেস্ক: শিশু গৃহকর্মী আদুরীকে (১১) নির্যাতন করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে তার মা ইশরাত জাহানকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহমুদা আক্তার। তাকে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার রিংকি।

এর আগে গেলো ৯ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৮ জুলাই দিন ঠিক করেন।

২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ও ডিওএইচএসের ডাস্টবিন থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কঙ্কালসার ও মৃতপ্রায় গৃহকর্মী আদুরীকে। সে সময় তার শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। মারধর, গরম খুন্তি ও ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাত, মাথায় কোপ, খেতে না দেয়া- কিছুই বাদ যায়নি নির্যাতনের তালিকা থেকে।

প্রায় দেড় মাস আদুরীকে চিকিৎসা দেয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের নিজ গ্রামে ফিরে যায় আদুরী।

ওই ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় নওরীন জাহান নদী, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাসুদ, মাসুদের দুলাভাই চুন্নু মীর ও তাদের আত্মীয় রনিকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিট থেকে মাসুদ, চুন্নু মীর ও রনির নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তে নওরীনের মা ইসরাত জাহানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় নতুন করে তাকে আসামি করা হয়।


পিএনএস/আলআমীন