পেটে সন্তান রেখে সেলাই: ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

  07-11-2017 02:17PM


পিএনএস ডেস্ক: জমজ সন্তানের একটি বের করার পর আরেকটিকে ভেতরে রেখেই নারীর পেট সেলাই করে দেয়ার ঘটনায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।

অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন মজিবুর রহমান। তবে লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগমকে ১৬ নভেম্বর আবারো হাজির হতে বলেছেন আদালত।

সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান, লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগম। শুনানি শেষে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের ভিত্তিতে সিভিল সার্জনকে অব্যাহতি দেন আদালত।

তবে অন্য দুজনকে ১৬ নভেম্বর আবার হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ওই দিন দাখিলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগমসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। আজ তাঁদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের প্রসবব্যথা উঠলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গৌরীপুরের লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি মেয়ে জন্ম হয়। তখন তার স্বজনরা ডাক্তারকে খাদিজার পেটে যমজ বাচ্চা আছে জানালে ডা. শেখ হোসনে আরা স্বজনদের জানান, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার। ৪ দিন ভর্তি রাখার পর তাকে ক্লিনিক থেকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।
ক্লিনিক থেকে খাদিজাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর থেকে তার আবার সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা জানতে পারেন খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা আছে।

এর পর ২২ অক্টোবর রাত ৮টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ অক্টোবর সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে বের করা হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন