ফের পেছাল রূপাকে ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন

  13-11-2017 06:57PM

পিএনএস ডেস্ক : বগুড়া থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষা দিয়ে ময়মনসিংহ ফেরার পথে শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ফের পিছিয়েছে।

পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনা মামলাটি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সোমবার অভিযোগ গঠনের নির্ধারিত দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সোমবার আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আগামী ২২ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী গত ১৫ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ মামলায় গ্রেফতার ছোঁয়া পরিবহনের পাঁচ শ্রমিকের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণ, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা, ২০১ ধারায় লাশ গুম এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে আসামিরা সবাই টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন