পিএনএস ডেস্ক: জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া রাজধানীর ধানমন্ডি ও গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আগামী রোববার (১৯ নভেম্বর) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। লেকহেড স্কুল খোলার বিরুদ্ধে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) স্কুলটির দুই শাখা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার কথা জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
ওইদিন সকালের নির্দেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশানের শাখা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তবে লেকহেড স্কুল কর্তৃপক্ষকে জঙ্গিবাদসহ যেকোনো বিষয়েই সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি হয়। যার রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয়।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
রায়ের পর ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লেকহেড স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে ওই স্কুলের বিষয়ে জঙ্গিবাদসহ সরকারের যেকোনো তদন্তে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ৯ নভেম্বর লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড স্কুলের মালিককে স্কুলটি খোলা ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসব রিট করেন।
উল্লেখ্য, লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখা বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।
সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মামলাটির রায়ের দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, ‘সোমবার (১৩ নভেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস অপজিশন অ্যাফিডেভিট আদালতে দাখিল করেছে। আদালতও উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। এরপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি শাখাসহ লেকহেড স্কুলের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ঢাকা জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পিএনএস/আনোয়ার
লেকহেড স্কুল খোলার আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত
15-11-2017 03:37PM