খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ,জামিন আবেদন মঙ্গলবার

  19-02-2018 09:42PM

পিএনএস ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষণা করা রায়ের অনুলিপি পেয়েছেন তার আইনজীবীরা।

সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ১ হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত থেকে বুঝে নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এবং মাসুদ আহমেদ তালুকদার। ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি হয়েছে ১ হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে ১ হাজার ১৬৮ পৃষ্ঠা রায়ের বিবরণ এবং ছয় পৃষ্ঠা মূল আদেশ।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন রায়ের অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের হাতে তুলে দেন। এ সময় অর্ধশতাধিক বিএনপিপন্থি আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায় ঘোষণার ১০ দিন পর অতিপ্রতীক্ষিত রায় এবং আদেশের কপি আমাদের কাছে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আমরা সেটা গ্রহণ করেছি। আগামীকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার শাস্তির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার আশা করছি। আপিল ফাইল করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। আর আপিল ফাইল করার সাথে সাথে খালেদা জিয়ার জামিনের দরখাস্ত করা হবে।’

মামলা জামিনযোগ্য কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘শাস্তির পরিমাণ যখন কম হয়, আপিল ফাইল করার সাথে সাথে উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন দেওয়ার জন্য।’

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার সময় কেন দীর্ঘায়িত হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যে মামলায় জেল দেওয়া হয়েছে, সে মামলা জেল হওয়ার মতো না। অর্থাৎ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি পাওয়ার কথা ছিল। সেখানে যখন দুই সপ্তাহ সময় লাগিয়েছে, সুতরাং এটা সরকারের প্রভাবমুক্ত নয়, তা চিন্তা করার সুযোগ নেই।’

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘গত ৮ তারিখ এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয় আসামিকে দণ্ডিত করা হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া জেলে রয়েছেন। আমরা দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলাম। আজকে রায়ের কপি পেয়েছি। আসামিপক্ষও পেয়েছে বলে জেনেছি।’

তিনি বলেন, ‘রায়ের কপি আমরা এখন কমিশনে পৌঁছে দেব। পরবর্তীকালে দুদক কমিশনার এবং চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন ভবিষ্যতে তারা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে মোতাবেক আমরা আইনগতভাবে উচ্চ আদালতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মামলাটি জামিন যোগ্য কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘দুদকের কোনো মামলা জামিনযোগ্য নয়, প্রতিটি ধারা অজামিনযোগ্য। সেখানে জামিনের বিষয়টি হচ্ছে এই, কেউ যদি জামিনের আবেদন করেন সেখানে কমিশনকে জানাতে হবে। কমিশনের পক্ষে যে আইনজীবী থাকবেন তিনি ওকালতনামা দেবেন। এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের সিদ্ধান্ত হবে।’

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয় এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদা জিয়ার পক্ষে রায়ের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুলিপির জন্য ৩ হাজার পৃষ্ঠার পোর্টফোলিও আদালতে দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

মামলাটিতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রায়ে আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডিত অপর চার আসামি হলেন- কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। দণ্ডিতদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষণা করা রায়ের অনুলিপি পেয়েছেন তার আইনজীবীরা।

সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ১ হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত থেকে বুঝে নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এবং মাসুদ আহমেদ তালুকদার। ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি হয়েছে ১ হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে ১ হাজার ১৬৮ পৃষ্ঠা রায়ের বিবরণ এবং ছয় পৃষ্ঠা মূল আদেশ।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন রায়ের অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের হাতে তুলে দেন। এ সময় অর্ধশতাধিক বিএনপিপন্থি আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায় ঘোষণার ১০ দিন পর অতিপ্রতীক্ষিত রায় এবং আদেশের কপি আমাদের কাছে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আমরা সেটা গ্রহণ করেছি। আগামীকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার শাস্তির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার আশা করছি। আপিল ফাইল করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। আর আপিল ফাইল করার সাথে সাথে খালেদা জিয়ার জামিনের দরখাস্ত করা হবে।’

মামলা জামিনযোগ্য কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘শাস্তির পরিমাণ যখন কম হয়, আপিল ফাইল করার সাথে সাথে উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন দেওয়ার জন্য।’

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার সময় কেন দীর্ঘায়িত হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যে মামলায় জেল দেওয়া হয়েছে, সে মামলা জেল হওয়ার মতো না। অর্থাৎ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি পাওয়ার কথা ছিল। সেখানে যখন দুই সপ্তাহ সময় লাগিয়েছে, সুতরাং এটা সরকারের প্রভাবমুক্ত নয়, তা চিন্তা করার সুযোগ নেই।’

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘গত ৮ তারিখ এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয় আসামিকে দণ্ডিত করা হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া জেলে রয়েছেন। আমরা দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলাম। আজকে রায়ের কপি পেয়েছি। আসামিপক্ষও পেয়েছে বলে জেনেছি।’

তিনি বলেন, ‘রায়ের কপি আমরা এখন কমিশনে পৌঁছে দেব। পরবর্তীকালে দুদক কমিশনার এবং চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন ভবিষ্যতে তারা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে মোতাবেক আমরা আইনগতভাবে উচ্চ আদালতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মামলাটি জামিন যোগ্য কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘দুদকের কোনো মামলা জামিনযোগ্য নয়, প্রতিটি ধারা অজামিনযোগ্য। সেখানে জামিনের বিষয়টি হচ্ছে এই, কেউ যদি জামিনের আবেদন করেন সেখানে কমিশনকে জানাতে হবে। কমিশনের পক্ষে যে আইনজীবী থাকবেন তিনি ওকালতনামা দেবেন। এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের সিদ্ধান্ত হবে।’

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয় এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদা জিয়ার পক্ষে রায়ের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুলিপির জন্য ৩ হাজার পৃষ্ঠার পোর্টফোলিও আদালতে দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

মামলাটিতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রায়ে আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডিত অপর চার আসামি হলেন- কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। দণ্ডিতদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন