খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণের শুনানি আজ

  22-02-2018 10:09AM

পিএনএস ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণের শুনানি হবে আজ।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় আবেদনটি (ক্রিমিনাল আপিল নং ১৬৭৬/২০১৮-বেগম খালেদা জিয়া ওরফে খালেদা জিয়া বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য) ছয় নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে থাকবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদার পক্ষে থাকবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল (আপিল নং ১৬৭৬/২০১৮) দায়ের করেন। আপিলের ফাইলিং আইনজীবী হয়েছেন আবদুর রেজাক খান। ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে এ আপিল করা হয়।

শুনানির পাশাপাশি আজ বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদন করবেন আইনজীবীরা। আপিল গ্রহণ এবং জামিন হবে কিনা তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দেশবাসী।

এদিকে বুধবার এক অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি পর্যালোচনা করছে কমিশন। এরপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান অভিযোগ করেছেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বিবাদীপক্ষ তাদের আপিলের কপি সরবরাহ করেনি।

এর আগে সোমবার রায়ের সত্যায়িত কপি হাতে পান বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান নথিপত্রসহ ১২২৩ পৃষ্ঠার আপিল দায়ের করেন। আপিলে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। এতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা স্থগিত চাওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণের শুনানি হবে। আমরা আশা করছি আপিল মঞ্জুর হবে এবং তিনি জামিনও পাবেন। পাঁচ বছরের সাজা স্বাভাবিকভাবেই জামিনযোগ্য।

খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর ও তার জামিন হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ভুয়া দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে। এ মামলায় তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। তিনি বলেন, আমরা তার জামিনের আবেদনও করব। আশা করছি তিনি জামিনও পাবেন। আদালতের কাছে আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি পর্যালোচনা শেষে কমিশন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টারে এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের সব মামলাতেই যথাযথ মান অনুসরণ করা হয়। কমিশনের আইন অনুবিভাগ মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি পর্যালোচনার পর সুপারিশ পেশ করে। কমিশন সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।

৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত আদালতের বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

৪০৯ ও ১০৯ ধারা মোতাবেক আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন