সিটি ভোটের রুল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

  25-02-2018 11:46AM


পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ও ঢাকার দুই সিটিতে নতুন যুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচন নিয়ে রুল দ্রুত হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ওই নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে ইসির করা পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইসির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

নির্বাচন চেয়ে পক্ষভুক্ত হওয়া বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

পরে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা ইসির আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আদেশে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে দ্রুত সময়ে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া ছয়মাসের স্থগিতাদেশ বহালই রয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল।

এ তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

এর প্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সব কার্যক্রম ছয়মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে আরেক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ সিটিরও ১৮ নতুন ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কীভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কী আড়াই বছর, না কী পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতেও বলেন আদালত।

১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে ইসি। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ০৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির দিন ধার্য করেন।

কিন্তু ০৮ ফেব্রুয়ারি দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২২ ফেব্রুয়ারি আবেদনগুলো শুনানির জন্য তালিকায় থাকলেও ইসির আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি পেছানো হয়েছিলো।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন